জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর শহরের স্বনামধন্য গুলশান মার্কেটের অবৈধ ভাড়াটিয়া মরহুম আব্দুল মান্নানের স্ত্রী মোছাঃ জান্নাতুন নাহার পলিন ও তার পুত্র মোঃ জান্নাতুল নাঈম, জগদিস কুমার রায়, বিনয় কুমার, আশরাফুল ইসলাম ও তার ভাই আরশাদুল ইসলামসহ আরও ৪/৫ জন ভাড়াটিয়া।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, অবৈধ ভাড়াটিয়াদের দোকান ঘর খালি করে দেয়ার জন্য ইতিপুর্বে একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ এবং স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হলেও তৎকালীন কৃষকলীগের সাবেক দিনাজপুর জেলা সভাপতি মরহুম আব্দুল মান্নানের একক ক্ষমতাবলে দোকান ঘরগুলো খালি করতে বা নতুন করে চুক্তিপত্র করতে পারেনি মালিকপক্ষ। জানা গেছে, জেলা কৃষকলীগের সাবেক জেলা সভাপতি মরহুম আব্দুল মান্নান গুলশান মার্কেটের মালিক গুলশান আরা বেগমের কাছ থেকে ৫ বছরের চুক্তিপত্রে মার্কেটের নিচতলায় ৫টি দোকান ঘর ভাড়া নেন তিনি।
আব্দুল মান্নানের মৃত্যুর পর সেই দোকান ঘর গুলি ভাড়া নেয়ার চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হলে এরমধ্যে জাল কাগজপত্র তৈরী করে দোকানঘর গুলি নিজেদের মালিকানা বলে দাবী করছেন বর্তমান অবৈধ ভাড়াটিয়ারা।উপরোক্ত বিষয়গুলো জানতে মরহুম আব্দুল মান্নানের স্ত্রী মোছাঃ জান্নাতুন নাহার পলিন ও তার পুত্র মোঃ জান্নাতুল নাঈমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
অপরদিকে গুলশান মার্কেটের ১, ২, ১৫, ৩৩, ৭১ ও ৭২ নং দোকানের পৈত্রিকসুত্রে পাওয়া বর্তমান মালিক মোঃ নাফিস হাসনাইনের সাথে কথা তিনি বলেন, ২০১০ সালে আমার যখন প্রথম পৈত্রিক সুত্রে জায়গার মালিকহন তখন থেকে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র পেশিবল এবং অর্থের বিনিময়ে গুলশান মার্কেটের নিচতলায় আমিসহ গুলশান মালিকদের কাছ থেকে নেয়া মোট ৫টি দোকান কৌশলে নিজেদের দখলে রেখেছেন।
আমি দোকানঘরগুলির ভাড়ার চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে তাদের সাথে চুক্তিপত্র করতে চাইলে তারা বিভিন্ন প্রকার টালবাহানা করতে থাকেন। আমি উক্ত দোকানঘরগুলো অবৈধ দখলদারদের কাছ থেখে ফিরে পেতে প্রশাসনের দারস্ত হয়েছি।