জাহিদ হোসেন,দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ সোমবার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের উন্মুক্ত মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী এমদাদুল হক, আবু হোসেন এবং নাইট গার্ড মমিনুল ইসলাম ওরফে রনি। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে খাবার বিতরণ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক দল বিরামপুর পৌরসভার সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল ও তার সহযোগীরা কর্মচারীদের ওপর চড়াও হন।
পয়লা বৈশাখ উদযাপনের সময় দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও এবং ওসিসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদের তিন কর্মচারীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন, বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনিম আউন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিয়া শফিকুল আলম মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক মনজুর ইলাহী চৌধুরী রুবেল। আহত মমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা অতিথিদের জন্য খাবার বিতরণ করছিলাম। হঠাৎ আরিফুর রহমান রাসেল এসে নিজের মতো খাবার নিতে থাকেন। আমরা বাধা দিলে তিনি ও তার সহযোগীরা আমাদের ওপর হামলা চালান।
বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুবেল ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয় জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাসেল পৌর ইউনিটের আওতাধীন এবং তারা আমাদের অধীনে নন। বিষয়টি নিয়ে দলীয়ভাবে আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরিফুর রহমান রাসেলের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিরামপুর উপজেলায় নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনিম জানান, পহেলা বৈশাখের নববর্ষের বরণ অনুষ্ঠানে সবার সামনে একটি উৎসবমুখর আয়োজনে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। ভুক্তভোগীদের মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।