আমির হোসেন,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ তাহিরপুর বিশ্ব ঐতিহ্য দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা সংরক্ষিত জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওরে চটানিয়া বিলে বিষপ্রয়োগে কাজল মিয়া নামের এক খামারির ৫০০টি হাঁসের মৃত্যু এ ঘটনায় টাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীয় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবুল কালামসহ ১১জনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের রামসিংহপুর গ্রামের মৃত আবিদ হোসেন তালুকদার এর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য খামারি কাজল মিয়া।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায় খামারি কাজল মিয়া রামসিংহপুর গ্রামের পাশে চটানিয়া বিলের পাড়ে ছোট একটি হাঁসের খামারে ৫শতাধিক হাঁস পালন করে আসছিলেন। এবং হাঁসের খাবারের জন্য চটানিয়া বিলে ছেড়ে দেন তিনি,কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা উচ্ছৃঙ্খল ও দাঙ্গাবাজ তারা অবৈধভাবে চটানিয়া বিলে বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে মাছ শিকার করে ও বিলের পানি সেচিয়া নিষ্কাশন করত।এতে নিকটবর্তী ফসলি জমির পানি সংকট ও দেশীয় হাঁসসহ পরিযায়ী পাখির খাবারের সংকট সৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন করার এমন অনৈতিক কাজে বাধানিষেধ করিলে বিবাদীরা কাজল মিয়ার প্রতি আক্রোশ হয়ে চটানিয়া বিলে হাঁস ছাড়তে নিষেধ করে,বিষপ্রয়োগের পূর্বে গত ৪মার্চ বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখাইয়া কাজল মিয়ার প্রায় ৩শতাধিক দেশীয় হাঁস বিলের পাড় থেকে তাড়াইয়া নিয়া যায়।
ও পার্শ্ববর্তী গলগলিয়া বিলে কাজল মিয়ার ফসলী জমিতে সেচ কাজে থাকা একটি শ্যালো মেশিন পাইব পাম্প ও একটি ঠেলাগাড়িসহ নিয়া যায়।এ বিষয়েও কাজল মিয়া তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বিবাদীরা কাজল মিয়ার প্রতি অধিক আক্রোশ হইয়া যায়।কাজল মিয়া বারংবার বিবাদীদের বাঁধা-নিষেধ করা সত্বেও ঘটনার আগের রাতে বিলের পানিতে বিষপ্রয়োগ করে মাছ শিকার করে।বিষয়টি পুর্ব হইতে অবগত না থাকায় গত ৮,মার্চ সকালে প্রতিদিনের ন্যায় কাজল মিয়ার ২০০শতাধিক হাঁস বিলের পানিতে ছেড়ে দিলে কিছুক্ষণ পর কাজল মিয়া দেখিতে পায় বিবাদীদের দেওয়া বিষপ্রয়োগের কারণে কাজল মিয়ার প্রায় দুই শতাধিক হাঁস বিলের পানিতে মরিয়া ভাসিতে থাকে।
এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে জানাইলে সকলেই কাজল মিয়া কে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি তাহিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত টাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীয় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম অস্বীকার করে বলেন এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা আমার প্রতি আক্রোশ হয়ে এ ঘটনায় আমাকে জড়িয়েছে। এ বিষয়ে তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান আমি বাহিরে আছি থানায় গিয়ে বিষয়টি জেনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হাসেম বলেন মামলা হয়েছে জানি আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম তবে মামলায় আবুল কালাম নামের একজন কে অভিযুক্ত করা হয়েছে সে এ ঘটনায় জড়িত কি-না আমার কাছে সন্দেহ হচ্ছে। কারণ সে এই কাজ করতে পারে না যদি তদন্ত করে থাকে জড়িত পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে এছাড়াও এর পুর্বে বাগমারা গুপ ও গইন্যাকুড়ি এবং মাছের অভয়াশ্রম রৌয়া বিলে বিষপ্রয়োগ করে মৎস্য ও পাখি শিকারের ঘটনা ঘটেছে।