ডা. নরুল হক,বিরামপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় অটোরিকশা এবং সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধারণা করা যায় বর্তমানে বিরামপুর উপজেলায় প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার অটোরিকশা ,মিশুক, চার্জার ভ্যান চলাচল করছে ।
পাশাপাশি সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার। তবে বিপুল সংখ্যক অটোরিকশা বিরামপুরের জন্য এখন বিপদজনক। বিরামপুরের আঞ্চলিক মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক, লিংক রোড, অলিতে গলিতে সর্বত্র চলাচল করছে অটোরিকশা। নেই কোন শৃঙ্খলা, নেই প্রশিক্ষিত ড্রাইভার এবং চালক বয়সে কিশোর।
বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বিরামপুরে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষের সমাগম হয়। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে যোগাযোগের মাধ্যম বিরামপুর উপজেলা। অনিয়ন্ত্রিত অটোরিকশার কারণে প্রতি নিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
অদক্ষ – অনভিক্ষ ড্রাইভার, একটি স্থানে প্রয়োজনের চেয়ে অধিক অটো রিক্সার উপস্থিতি, এলোমেলো চলাচলের কারণ, হঠাৎ ঘুরে নেয়া, রোড মার্ক না বুঝে ওভারটেক করা, সড়কের সাংকেতিক চিহ্ন না মানা, দ্রুতগতিতে চলাচল ,আইন ও নিয়ম শৃঙ্খলা সম্পর্কে ধারণা না থাকা ইত্যাদি কারণে রাস্তায় দুর্ঘটনা বাড়ছে।
বিশেষ করে রাস্তার মোড় গুলোতে যানজট লেগেই থাকে। বিপুল সংখ্যক অটোরিক্সার চাপে বাস-ট্রাক, মোটরবাইকের সাথে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে । এতে আহত ও নিহত হচ্ছে।
বর্তমানে হোটেল শ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিক ছোটখাটো চাকুরীজীবী সহজলভ্য হিসেবে শুরু করে অটো রিক্সা চালানো। নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই কোন প্রশিক্ষণ । নেই কোন নিয়ম মানা, তাদের নেই কোন শৃঙ্খলা বোধ। যার যার মত চলছে ,যেখানে সেখানে থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করছে
তথ্যসূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত অটো রিক্সার কারণে বিরামপুরের উপজেলায় অবৈধ অটোরিকশা বিদ্যুৎ চার্জ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। যেখানে অটো রিক্সা রিচার্জ করা হয়। এতে বিদ্যুৎ বিভাগ অর্থ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপরদিকে গ্রাহক বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে।
সাধারণ মানুষের দাবি, অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলা আনয়নে বিরামপুর পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।