শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে পুকুর এগ্রিমেন্টের মেয়াদ শেষ হলেও আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়া,বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে শাহাদৎ জামান ওরফে পুটুর বিরুদ্ধে। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের দাড়িদহ গ্রামের তছকিন উদ্দিন আকন্দ এর ছেলে আনোয়ারু ইসলাম, একই উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ধাওয়াগী (কৃষ্টুপুর) গ্রামের শাহাদৎ জানাম পুটুর নিকট থেকে ধাওয়াগীর মৌজার জে,এল নং-৩০,আর, এম আর নং ৩৬৬, হালে ২২১ দাগে ৯১ শতাংশ পুকুর চার বছরের জন্য এগ্রিমেন্ট নেয়। এগ্রিমেন্ট নেওয়ার পর থেকে সে ওই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিলো।
পরে পুকুরটি অন্য লোকের নিকট বিক্রি করায় নিদিষ্ট সময় পার হলেও আমানতের টাকা ফেরত না দিয়ে জোরপূর্বক ক্রেতাকে দখল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহাদৎ জামান পুটুর বিরুদ্বে।শাহাদৎ জামান পুটু শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নে কৃষ্টপুর গ্রামের মৃতঃকছিম উদ্দীনের ছেলে। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় পুকুরটি এগ্রিমেন্ট নেওয়া দাড়িদহ গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের সাথে। আনোয়ারুল জানায়, আমি পুকুরটি চার বছরের জন্য চার লক্ষ টাকা দিয়ে এগ্রিমেন্ট নিয়েছি। এগ্রিমেন্টের সময় পার হলেও আমাকে এগ্রিমেন্টের টাকা না দেওয়ায় আমি এখনো পুকুরটি ভোগ দখল করছি। আমাকে এগ্রিমেন্টের টাকা দেওয়ার কথা বলে দুইবার মাছ পরিপক্ষ হবার আগেই বিক্রি করতে হয়েছিল। এতে আমার ব্যাপক লোকসান হয়েছে। পাশাপাশি পুকুরের পাড় বাঁধা, চারপাশে কলার গাছ রোপন করা,পানির সেচ ও নেট ক্রয় বাবদ আমার এক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
পুকুরটি অন্যের নিকট বিক্রি করলে আমার আমানতের টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও তালবাহানা করছে।
এ বিষয়ে শাহাদৎ জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমি পুকুরটি এগ্রিমেন্ট না পত্তন দিয়েছি। ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার শহিদুল ইসলাম নান্নু বলেন,শাহাদৎ জামান পুটুর নিজ বাড়িতে বসে পুকুরটি চার বছরের জন্য চার লক্ষ টাকার এগ্রিমেন্ট কাগজ তৈরি হয় এবং আমি নিজেই ওই এগ্রিমিন্টে নামার সাক্ষী আছি। কৃষ্টুপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বলেন,পুকুরটি পুটু আনোয়ারুল এর নিকট এগ্রিমেন্ট রেখেছে এতে কোন সন্দেহ নাই।
পুকুর ক্রেতা মোঃ কাইয়ুম পিতা- মকবুল হোসেন সাং মৃধাপাড়া(কৃষ্টপুর) বিশেদ থাকায় তার স্ত্রী মোছাঃ পান্না খাতুন এর নিকট পুকুর এগ্রিমেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে, এগ্রিমেন্টের চার লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আমারা রেখে দিলে দিয়েছি। আনোয়ারুলে সঙ্গে ইতিপূর্বে কথাও হয়েছিল এবং শাহাদৎ জামান পুটু তাকে সঙ্গে করে না আসায় আমরা বিষয়টি এখনো নিরসন করতে পারিনি।
এগ্রিমেন্ট সম্পাদনকারী মুহুরী ওছমান গণি মান্ডল নিকট এগ্রিমেন্ট নামার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনোয়ারুল ইসলাম পুকুরটি চার লক্ষ টাকায় চার বছরের জন্য এগ্রিমেন্ট নিয়েছে।শাহাদৎ জামান এর বাড়িতে বসেই একশত টাকার ২টি এবং ৫০ টাকার ২টি মোট ৪টি ট্যাম্পে এগ্রিমিন্ট নাম হয়েছে।