ব্যুরো রিপোর্ট ঢাকাঃ আওয়ামী লীগ আমলে প্রায় চূড়ান্ত হওয়া ৮৬টি আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি আইনের সংশোধনীও রয়েছে। দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খসড়াগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কোনো কোনো আইনের খসড়া করতে ১০ বছর লেগেছিল। এখন এগুলো ফেরত পাঠানোর ফলে এগুলো আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে। সব আইনের খসড়া ঢালাওভাবে ফেরত পাঠানো সঠিক হয়নি উল্লেখ করে আইনজীবীদের দাবি, ‘অধ্যাদেশের সুযোগ থাকার পরও সব আইন ঢালাওভাবে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো সঠিক সিদ্ধান্ত না।
বর্তমান বা নতুন সরকারের নীতি অনুসরণ করে খসড়াগুলো করতে আবারও বছরের পর বছর পার করে দেবেন আমলারা।
এ সময়ের মধ্যে নতুন করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল খসড়াগুলো আবারও আটকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। অথচ খসড়াগুলোর মধ্যে সমসাময়িক জরুরি আইনও রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব আইনের খসড়া উদ্দেশ্যমূলকভাবেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত সরকারের নীতি এ সরকারের নাও হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন যে সরকার আসবে আইনগুলো তাদের নীতির ওপর ভর করে করা হবে। কিন্তু আইন প্রণয়নে দলীয় নীতির চেয়ে দেশের স্বার্থই গুরুত্ব পাওয়া উচিত। কিন্তু গণহারে সব ফেরত পাঠানোর ফলে খসড়াগুলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে গেল। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ প্রাথমিক পর্যায়ে একই ধরনের কারিকুলামের আওতায় একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনের কথা বলা হলেও দেড় যুগেও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। একমুখী শিক্ষাব্যবস্থায় সব শিক্ষার্থীকে একই বই পড়ানো হয় এবং একই ধরনের শিক্ষা দেয়া হয়। বিশ্বের প্রায় সব দেশের প্রাথমিক পর্যায়ে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত। কিন্তু ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে অন্তত ১১ ধরনের। ধরনভেদে প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রমেও রয়েছে ভিন্নতা।
সরকারিভাবে স্বীকৃত বা স্বীকৃতিহীন মিলিয়ে বাংলাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় কারিকুলাম চালু আছে অন্তত পাঁচ রকমের। দেশে বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবতেদায়ি মাদ্রাসা, উচ্চ মাদ্রাসাসংলগ্ন এবতেদায়ি মাদ্রাসা, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়, এনজিও পরিচালিত শিক্ষা কেন্দ্র, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট স্কুল, কওমি মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরন ও কারিকুলামের এ ভিন্নতা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের শুরুতেই অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতার স্তরে ব্যাপক পার্থক্য সেইসাথে সামাজিক বৈষম্য তৈরি করে দিচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে প্রতিষ্ঠানের ধরন ও কারিকুলামভেদে শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান এবং দক্ষতার মধ্যে যে ফারাক দেখা যায়, সেটি দূর করা অপরিহার্য বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। আওয়ামী লীগ আমলে প্রায় চূড়ান্ত হওয়া ৮৬টি আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি আইনের সংশোধনীও রয়েছে। দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খসড়াগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কোনো কোনো আইনের খসড়া করতে ৫ থেকে ১০ বছর লেগেছিল। কলমের খোঁচায় ফেরত পাঠানোর ফলে এগুলো আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে।
বর্তমান বা নতুন সরকারের নীতি অনুসরণ করে খসড়াগুলো করতে আবারও বছরের পর বছর পার করে দেবেন আমলারা। এ সময়ের মধ্যে নতুন করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল খসড়াগুলো আবারও আটকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। অথচ খসড়াগুলোর মধ্যে সমসাময়িক জরুরি আইনও রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন এক প্রশ্নের জবাবে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। প্রশাসনিক পরিবর্তন হয়েছে। খসড়ায় কী আছে, কী আইন হবে এটি নতুন উপদেষ্টাদের জানতে হবে। আইনের খসড়া কী আছে, তার বাস্তবতা কী তা জানানো রীতি। তারা যদি সম্মতি দিয়ে পাঠান সেটি নিয়ম অনুযায়ী এগোবে। অনেক মন্ত্রণালয় খসড়াগুলো যাচাই করে পুনরায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাচ্ছে। সেসব আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যাচাই-বাছাই হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব আইনের খসড়া উদ্দেশ্যমূলকভাবেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত সরকারের নীতি এ সরকারের নাও হতে পারে। নতুন যে সরকার আসবে আইনগুলো তাদের নীতির ওপর ভর করে করা হবে। কিন্তু আইন প্রণয়নে দলীয় নীতির চেয়ে দেশের স্বার্থই গুরুত্ব পাওয়া উচিত। কিন্তু গণহারে সব ফেরত পাঠানোর ফলে খসড়াগুলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে গেল। খসড়াগুলো নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানোর ফলে নতুন স্বার্থান্বেষী মহল তা আটকে দিতে তৎপরতা শুরু করবে। যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ আইন তা কেবিনেটে রেখেই সংযোজন বিয়োজন করে অধ্যাদেশ জারির সুযোগ ছিল। সংশ্লিষ্টরা আরও বলেছেন, প্রস্তাবিত অনেক আইন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নামেও রয়েছে। এসব বাদ দেবে তা অনুমিতই। শুধু সেসব খসড়া ফেরত পাঠালেই হতো।
সব আইনের খসড়া ঢালাওভাবে ফেরত পাঠানো সঠিক হয়নি উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া দেশ রূপান্তরকে বলেন, অধ্যাদেশের সুযোগ থাকার পরও সব আইন ঢালাওভাবে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো সঠিক সিদ্ধান্ত না। প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে সংকটে জর্জরিত মানুষ প্রতিকার চেয়ে আদালতে আসেন। কিন্তু আইন বা বিধির অভাবে ন্যায্য বিচার পান না। স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনের অধ্যাদেশের সুযোগ ছিল। কৃষক কৃষিজমির অধিকার হারাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন ও দুর্বৃত্তরা ফসলি জমি ভরাট করে কলকারখানা তৈরি করছে। ফলে একদিকে যেমন কৃষকের আয়ের পথ নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে রাষ্ট্র খাদ্যঝুঁকিতে পড়েছে। ফলে এসব খসড়াকে মূল্যায়নের সুযোগ সরকারের হাতে ছিল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২৫ নভেম্বর প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে আলাদা আলাদা চিঠি দিয়ে ৮৬টি আইনের খসড়া ফেরত পাঠায়। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে অধ্যাদেশের প্রয়োজন থাকলে তা নতুন করে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জরুরি প্রয়োজন তারা ইতিমধ্যে আইনের বিষয়ে মতামত চেয়ে ওয়েবসাইটে খসড়া প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।
যেসব খসড়া ফেরত পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন-২০২৪ রয়েছে। এই আইনটির খসড়া নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে কাজ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিভিন্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ আইন চাইলেও আওয়ামী লীগপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপের বিরোধিতায় এ আইন পাস করতে পারেনি সরকার। খসড় আইনে চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণের বিধান রয়েছে। যার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে রোগীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন। অত্যন্ত জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট আইনটি পাস করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারই উপযুক্ত ছিল বলে মনে করে এসব সংগঠন। এ ছাড়া খসড়ায় বিদেশি বিনিয়োগে হাসপাতাল নির্মাণের সুবিধা, বিদেশি চিকিৎসকদের কাজ করার সুযোগ, বেসরকারি হাসপাতালেও জরুরি সেবা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা আইনটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু নতুন করে একটি গোষ্ঠী খসড়া আইনটি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
গত বছর ভূমির মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা আইনের উদ্যোগ নেওয়ার পর তার প্রশংসা কুড়ায় বিভিন্ন মহলে। বৃহৎ শিল্প স্থাপনে অকৃষি জমির সর্বোচ্চ সীমা কোনো বাধা না হয়ে দাঁড়ায় খসড়ায় এমন বিধান রাখা হয়েছিল। শিল্প স্থাপনে করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এ আইনের খসড়া করা হয়। বিশেষ আবেদনে সরকার অকৃষি জমির ঊর্ধ্বসীমার অতিরিক্ত ভূমিতে শিল্প স্থাপনে অনুমোদন দিতে পারবে। এ খসড়াটিও ফেরত পাঠানো হয়। রাস্তাঘাট ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির পর সংকটে দেশের কৃষি খাত। একদিকে বসতবাড়ি অন্যদিকে কলকারখানা ও আবাসন প্রকল্প। এ সংকটে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে কৃষকের পেশাও। আর এ কৃষিজমির সুরক্ষায় ২০১৩ সাল থেকে একটি আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সরকার। শেষ সময়ে এসে এ খসড়াটিও ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনেও বায়ুদূষণের শীর্ষে ছিল রাজধানী ঢাকা। কুয়াশা মনে হলেও আবহাওয়া অফিস বলছে, এসব ধোঁয়াশা মূলত ধূলি-ধূসরিত দূষিত বাতাস। এ সময়ে ‘নির্মল বায়্ ুআইন’ কার্যকর না হলে কীভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ আইনের খসড়ায় বলা আছে, দেশের বায়ুমান সন্তোষজনক করতে কাজ করবে এ আইন। আইন লঙ্ঘনকারী যত বড় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি হোক তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালেই এটি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ২০২৪ এসেও আটকে গেল।
ফেরত পাঠানো হয়েছে প্রায় ১০ বছর ধরে নিরীক্ষার ফল শিক্ষা আইনের খসড়াও। এ আইনের খসড়ায় বলা ছিল, চার স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা হবে। বিদেশি পাঠক্রমে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনার জন্য নিবন্ধন, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের মানোন্নয়নে পদক্ষেপ, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন নেওয়াসহ বেশ কয়েকটি বিধান যুক্ত আছে। বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতায় নানা সময় এ আইনটিও চূড়ান্ত হয়নি।
গত ডিসি সম্মেলনে একটি নতুন আইনের প্রয়োজন তুলে ধরা হয়। বলা হয়েছিল গ্রামপর্যায় অনলাইনে জুয়া ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যথাযথ শাস্তির বিধান না থাকায় সমাধানও হচ্ছে না। সেই বাস্তবতায় সরকার জুয়া প্রতিরোধ আইন-২০২৪-এর খসড়া তৈরি শেষ করেছিল। সেটিও ফেরত পাঠানো হয়েছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন (সংশোধিত)-২০১৩-এর খসড়াও ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ আইনের অধীনে শিশুর জন্মের পরপর এবং ব্যক্তির মৃত্যুর পরপর মৃত্যুর খবর রেজিস্ট্রারের কাছে নিবন্ধন করানোর বিধান রয়েছে। জন্মসনদের মূল জন্মতারিখের পরিবর্তে পাবলিক পরীক্ষা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্মতারিখ পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ না করার বিষয়টিও খসড়াতে ছিল।
বড় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যক্তিপর্যায়ে দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ বিদেশে পাচার করছে। সেই অর্থ পাচার রোধেই বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইন-২০২১-এর খসড়া করা হয়েছিল। আইনটির খসড়ায় আছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়াদি জানতে পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শককে সহযোগিতা না করলে সেই প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। দেশের বাইরে পরিশোধ, বৈদেশিক মুদ্রায় চলতি ও মূলধনি হিসাবের লেনদেন, বিনিময়, সিকিউরিটিজের লেনদেন, বৈদেশিক মুদ্রা, পণ্য, সেবা ও স্বর্ণ-রুপার আমদানি ও রপ্তানিসংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যেকোনো মুদ্রা, সোনা, রুপা বা অন্য সম্পত্তির ক্ষেত্রে এ আইনের ব্যত্যয় হলে দ-ের পাশাপাশি সে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২২, বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২৩, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২৩, ময়মনসিংহ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২৩, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন-২০২৩ এসব খসড়াও ফেরত পাঠানো হয়েছে।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফেরত পাঠানো অন্যান্য খসড়া আইনের মধ্যে রয়েছে রাসায়নিক অস্ত্র (নিষিদ্ধকরণ) আইন-২০১৮, জরিপ ও মানচিত্র প্রণয়ন আইন-২০১৮, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) আইন-২০২৪, প্রতিযোগিত (সংশোধন) আইন-২০২৪, স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন-২০১৮, বন আইন-২০২৩, পুলিশ (বিদ্রোহে উসকানি) আইন-২০১৯, খাদ্যদ্রব্য (বিশেষ আদালত) আইন-২০২০, নিরাপদ খাদ্য (সংশোধন) আইন-২০২২, দেবোত্তর সম্পত্তি আইন-২০২৩, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন-২০২৩, কৃষিজমি সুরক্ষা আইন-২০২৮, ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন-২০২৪, বন্দর আইন-২০২১, জেনেভা কনভেনশন বাস্তবায়ন আইন-২০২৪, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০২০ ইত্যাদি।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর পরিবার সংশ্লিষ্ট পাঁচটি আইনের খসড়া ফেরত পাঠানো হয়েছে। খসড়াগুলো হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা ভাষা-গবেষণা ট্রাস্ট আইন, ২০২১, শেখ রাসেল শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল আইন, ২০২১, বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩, শেখ কামাল ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০’ ও শেখ রাসেল জাতীয় মেধাসম্পদ ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০।