সম্পাদকীয়ঃ দক্ষতা-অদক্ষতার প্রশ্ন কূটনীতিতে দুটি রাষ্ট্রের মধ্যকার। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রেম-প্রীতির ব্যাপার নয়, দেওয়া-নেওয়ার বিষয়, মর্যাদা ও স্বার্থরক্ষার বিষয়। তাই বেশি, অতিরিক্ত, বাড়তি কিছুই ভালো ফল দেয় না। এর প্রমাণ আবারো আমাদের সামনে। ঢাকাস্থ কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা ইস্যুতে দেশ বেশ গরম। বিশ্বমিডিয়ায় নেতিবাচক ধারণা বাংলাদেশের অতিথিনিরাপত্তা নিয়ে। অযাচিত-অনাকাক্সিক্ষতভাবে এ কাজটা আমরাই করে ফেললাম। আর সেটা ঢাকতে গিয়ে অতিরিক্ত-অপ্রয়োজনীয় কথার ছড়াছড়ি। এক কথা দিয়ে আরেক কথা ঢাকতে গিয়ে অতিরিক্ত কথামালা।

ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থনৈতিক অবস্থার বরাত দিয়েছেন। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নানা কৃচ্ছ্রসাধন করতে হচ্ছে বলে যুক্তি দিয়েছেন তিনি। এক পর্যায়ে বলে ফেলেছেন, কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা-সুবিধা দিলে বিদেশিদের কাছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা নিয়ে ভুল বার্তা যায়। আমরা ভুল বার্তা দিতে চাই না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা ও সিদ্ধান্তের নতুন আরেক কথা বলে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেছেন, বাড়তি নিরাপত্তা চাইলে অর্থ দিতে হবে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে যে বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা তারা চাইলে ফেরত দেওয়া হবে। তবে এ জন্য তাদের অবশ্যই অর্থ দিতে হবে। বিদেশি কূটনীতিকরা না চাইলেও কয়েকটি দেশকে বিশেষ প্রয়োজনে বাড়তি বিশেষ নিরাপত্তা তথা সুরক্ষা দিয়ে আসছিল সরকার। সেটাও লিখিত নয়। মুখে মুখে দেয়া হুকুমই বাস্তবায়ন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, সরকার এখন মনে করে, ওই বাড়তি নিরাপত্তা দেয়ার আর দরকার নেই।

এক এক সময় এক এক কথা বলে জটিলতা আরো পাকানো হয়েছে। আসল সমস্যাটা তো বাড়তি আর মনে করা নিয়েই। প্রয়োজনে মনে হয়েছে বাড়তি সমাদর করা দরকার। আবার মনে হয়েছে, দরকার শেষ। তাই শেষ। মূলকথা সবই মনে করা, প্রয়োজন আর বাড়তির বাড়াবড়ি। আড়াল করার কোনো উপায় নেই যে, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক আগের মতো ভালো যাচ্ছে না। সেটা হতে পারে নির্বাচন, গণতন্ত্রায়ণ, বাক-স্বাধীনতা প্রশ্নে। অবশ্য দীর্ঘ সময় এ দেশগুলোই সরকারকে কেবল সমর্থন নয়, সহযোগিতাও দিয়েছে। ২০১৪-১৮ সালের প্রশ্নযুক্ত নির্বাচনকেও বৈধতা দিয়েছে। এখন নির্বাচন সামনে রেখে চিত্র ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। আরো ভিন্ন হওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট। সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছে তারা।

স্বাভাবিকভাবেই সরকারের জন্য এটি বিব্রতকর। আর সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির জন্য পরমানন্দের। কখনো কখনো অবস্থার এমন প্রকাশ ঘটছে যেন, বিএনপির কথাগুলোই বিদেশি কূটনীতিকরা বলছেন। রাজনীতি আর কূটনীতি এখানে একাকার হয়ে পড়েছে। সেই একাকারে ফর্মে চলে যাচ্ছে কূটনীতি। রাজনীতির এ কূটনৈতিক ধকল এখন কূটনীতি না জানা মানুষও বুঝে ফেলছে। অতিকূটনীতি চর্চায় বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনকে দেশের সীমানার বাইরের বিষয়আসয় করে ফেলার কাজটি শুরু হয়েছে আরো আগ থেকেই। এখন এটি একটা বিশেষ পর্যায়ে। সামনে তা আরো ডালপালা মেলবে বলে মনে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ দেখছে, কেউ বিদেশিদের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেয়ার আরজি নিয়ে ঘোরে। কেউ বিদেশিদের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের ওয়াদা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশ বলছে, কেবল তারা নন, বিভিন্ন দেশেরও নজর বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের দিকে। সরকারের শীর্ষমহল থেকেও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওয়াদা শোনানো হচ্ছে। কিছুদিন ধরে যেসব বিদেশি হাই-প্রোফাইল এসেছেন বা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের যারা বাইরে যাচ্ছেন তারা বিদেশিদের আগামীতে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু বা মডেল নির্বাচনের আশ্বাস শোনাচ্ছেন। জনগণ আর নামকাওয়াস্তেও ফ্যাক্টর থাকছে না। সরকার জনগণের চেয়ে বিদেশিদের কাছে ওয়াদা বেশি দরকার মনে করছে। আর বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণকে নিয়ে মাঠ গরম করার চেয়ে বিদেশিদের কাছে যাতায়াতকে বেশি কার্যকর ভাবছে। যা করে ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮-তে টানা সফল হয়েছে আজকের ক্ষমতাসীনরা। প্রকৃতপক্ষে খেলা আগেরটাই। তবে এবার গতি একটু বেশি। আবার পরিস্থিতির বাঁকও নানান দিকে। আগের শত্রু-মিত্র চেহারা ভিন্ন। পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন প্রশ্নে বিদেশিদের কোনো কথা শোনা হবে না বলে বাড়তি আওয়াজও দিয়ে রাখছে সরকারি দল। আবার মাঝেমধ্যে কূটনীতিকদের কাছেও চলে যায়। বিদেশ সফরও করে। বড় বড় দেশ সমর্থন-সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে-মর্মে প্রচারণা চালায়। মোটকথা, মুখে এদিক-ওদিক নানান কথা বললেও বিদেশিদের আয়ত্ব করার এক দুর্নিবার চেষ্টা দু’দিকেই আছে।

বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর কয়েকটি আবার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কেবল নির্বাচনের কথাই আনছে। নানা নসিহত-তাগিদ দিচ্ছেন তাদের ঢাকাস্থ দূতরা। নির্বাচনের সঙ্গে সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্যসহ কতো শব্দ তারা ব্যবহার করছেন! বিষয়টি বিএনপির জন্য যারপরনাই পুলকের। বিএনপির এমন তৃপ্তির ঢেঁকুর সরকারের জন্য আসলেই সহ্য করা কঠিন। তারই একটি গরম প্রকাশ বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আর বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা দেবে না-মর্মে দেয়া বার্তাটি মাটিতে পড়তে পারেনি। চারদিক থেকে প্রতিক্রিয়ার ধুম। কারো প্রতিবাদ, কারো খুশিতে নানান কথার ছড়াছড়ি। সব কূটনৈতিক মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দিতে হোস্ট রাষ্ট্র বাধ্য বলে বিবৃতি দিতে একটুও সময় নেয়নি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। বিবৃতিতে বলা হয়, ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে সব কূটনৈতিক মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা থেকে সরার কোনো সুযোগ নেই হোস্ট রাষ্ট্রের, মানে বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূনীতিকদের কয়েকজনের ওপর বিরক্তি সরকারের দিক থেকে মাঝেমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে রাফ এন্ড টাফ ভাষায়। তারা বেশি ‘ঢং’ করেন বলে উষ্মা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া আরো কঠোর। যারা স্যাংশন দেয় তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ আর কোনো কেনাকাটা করবে নাÑ এমন ঘোষণা কম দুঃখে দেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের ভূমিকায় ক্ষোভ তিনি জানিয়ে আসছিলেন অনেক দিন থেকেই। কারো কোনো চাপ তাকে টলাতে পারবে নাÑ এমন সাহসী উচ্চারণের মাঝে এক পর্যায়ে বলেই বসেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে বিভিন্ন দেশে সরকার পাল্টে দিতে পারে। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় চায় না। সরকারের দিক থেকে আসা এ ধরনের কথাও এক ধরনের বাড়তি কথা। সরকারের কেন এমন অবস্থান ও কঠোর কথা জানান দেয়া জরুরি হয়ে পড়লো, এ প্রশ্ন ঘুরছে। আবার সরকারের মাঝে আতঙ্ক-অস্থিরতাও স্পষ্ট। বিদেশি কূটনীতিকদের অতিমাত্রায় তোয়াজ-তোষণ বা ক্ষেপে গিয়ে যা ইচ্ছা বলা কোনোটাই শোভন নয়। বাংলাদেশে একসঙ্গে অশোভন কাজ দুটাই চলছে। কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে সরকারকে জেনেভা কনভেনশনের কথা মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার সরকারের দিক থেকে জেনেভা কনভেনশনের সবক শোনানো হচ্ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, দুপক্ষের কেউই জেনেভা কনভেনশন জানেন না মনে করার কারণ নেই।

এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ছাড়াও তার পূর্ববর্তী কয়েকজনের নাম বেশ প্রাসঙ্গিক। তাদের সঙ্গে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যা করা যায় করছে সরকার। গত নভেম্বরে বাংলাদেশের ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট দেয়া নিয়ে মন্তব্য করে প্রশংসা-সমালোচনার দুটারই মুখে পড়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তিনি তার বক্তব্যে গত নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তির প্রসঙ্গটি এনেছিলেন। তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে সরকার তা পারে। কনভেনশনটিতে সব কূটনৈতিক মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা হোস্ট দেশকে নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। আবার কূটনীতিকরা নিয়োগপ্রাপ্ত দেশে কোনো অসদাচরণ বা কূটনৈতিক নীতি বিবর্জিত কাজ করলে প্রত্যাহারসহ শাস্তি দেয়ার বিধানও আছে ভিয়েনা কনভেনশনে। এ কনভেনশনের বেশিরভাগ ধারাই কূটনতিকদের অনুকূলে। আবার কূটনীতিককে ডেকে পাঠানো-প্রত্যাহারের প্রচলনও আছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এর প্রায়শ্চিত্তও করতে হয়। বাংলাদেশকে কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোন দেশের কূটনীতিককে বরখাস্তের কলঙ্কে পায়নি। পর্যবেক্ষকদের মতে, কূটনীতি এমন জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা শুধু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। কোনো দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি দক্ষ ও কা-জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত না হয়, তাহলে সেই দেশের গণতান্ত্রিক সরকারও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারে না। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অদক্ষতার কারণে যে কোনো দেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

ফেসবুক মন্তব্য


মতামত জানান :

 
 
 

শিরোনাম :

বগুড়ায় রানার প্লাজা থেকে তালা কাটার যন্ত্রসহ যুবক আটক রাজারহাটে খড়ের পিকআপে মিললো ৩৫কেজি গাঁজা,গ্রেফতার-১ নাট্য সমিতির সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের ৫র্ম দিনে মঞ্চায়িত হলো সংগীতানুষ্ঠান ফরিদপুরে চোরাই গরুসহ দুই চোর আটক সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবীতে ঈদগাঁওতে বিক্ষোভ  পঞ্চগড় দ্বিতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহের কবলে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে আখ মাড়াই মৌসুম শুরু তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশনারে সাথে মতবিনিময় সভা নবাবগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ডোমারে ইপিল গাছ থেকে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের খসড়া তালিকা প্রকাশ বিএনপি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে পঞ্চগড়ে আদালতে জনবল তোপের মুখে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত নদীতে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার শেরপুরে  বিএনপির মনোভাব কি বদলাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের পাকিস্তান থেকে আমদানি বেড়েছে ২৭%,কমেছে ভারত থেকে আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ, প্রশাসন নীরব তেঁতুলিয়ায় শীতবস্ত্র উপহার দিলেন আল খায়ের ফাউন্ডেশনের মালয়েশিয়ায় বড়দিন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবির জ্যাকেট-আইডি কার্ড না দেখিয়ে আসামি ধরছে না বাংলাদেশে ছাত্রদের নতুন দল আসছে, টার্গেট কি ক্ষমতা? পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ায় ৯ কোটি টাকার মাদকসহ যুবক আটক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে ফাঁসি দেওয়া হবে-হামিদুর রহমান আযাদ ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-২ ফরিদপুরে বিদেশি পিস্তলসহ দুই সন্ত্রাসী আটক কবিতঃ চির স্বরণীয় কবি নজরুল-লেখক সৈয়দ হারুনুর রশীদ ঠাকুরগাঁও এর বালিয়াডাঙ্গীতে শ্যালকের হাতে দুলাভাই খুন। পাকিস্তান থেকে আলু-পেঁয়াজ ও শিল্পের কাঁচামাল জাহাজ এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে পারে
Translate Here »