নাগরিক ভাবনা, Hossain Sohel ঃমা তো দশ মাস দশদিন গর্ভে তার সন্তানকে নিজের সমস্ত পুষ্টিরস নিয়ে পুষ্ট করে তোলেন, একজন কৃষের কাছে তার ফসলও তেমন। সন্তানের মতো ফসল বাঁচাতে কুয়াকাটার গরীব কৃষক দেলোয়ার খলিফা প্রশাসনের বড় বাবুদের হাত-পায়ে তো ধরবেনই।
অনুসন্ধান!
বাঁধের উপরে মাটির সঙ্গে ফেলা হয়েছিল বালি। কিন্তু বাঁধে কেন বালি!? কথা কি এমন ছিলো বাঁধে বালুর সাথে মাটি মিশ করা হবে!? এখন তো কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেড়িয়ে আসছে। টাকা চুরি বা দুর্নীতির করার একটা সীমা থাকা উচিত। ধিক সেই বিভাগ … অথচ সেখানে সরল বিশ্বাসে সবাইকে ম্যানেজ করে তিন হাজার তরমুজের গাছ লাগিয়েছিলেন দেলোয়ার। আশা ছিল বালু মাটিতে তরমুজের ভালো ফলন হলে দুটো পয়সার মুখ দেখা যাবে।এদিকে বাঁধের পাশেই সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের আওতায় লাগানো হয়েছিল আকাশমনি গাছ। সেগুলোরও দেখাশুনা করতেন দেলোয়ার। সেই বিশ্বাসেই বাঁধে তরমুজ চাষ করতে গিয়েছিলেন। এর জন্য বনবিভাগের স্থানীয় বিট অফিসার মোশাররফকে ২০ হাজার টাকাও দেন।
Md Amir Hosain Chowdhury দেখুন জানুন। শুধু বনবিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক হলেই হবেনা। ওদিকে বাঁধের ঘাস নষ্ট হচ্ছে এমন দাবি করে গত রবিবার কৃষক দেলোয়ারের সব পরিশ্রম বৃথা করে দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামসহ তার লোকজন। কর্মকর্তাদের হাতে-পায়ে ধরে একটা মাস সময় চেয়েছিলেন দেলোয়ার খলিফা। তবুও কারও মন গলেনি।
বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, উপড়ে ফেলা তরমুজ গাছগুলো নিয়ে কুয়াকাটার কৃষক দেলোয়ার খলিফার এই কান্না কি সন্তানের লাশ জড়িয়ে ধরে মায়ের আহাজারির কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে না? আমরাও প্রশাসনের হাত-পা ধরি- কৃষকের পরিশ্রমের মূল্য দিন। আমরা তার সন্তান হত্যার বিচার চাই।
ধিক্কার
ধিক্কার
ধিক্কার
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব Kabir Bin Anwar আপনাকে জানিয়ে রাখলাম। চোখের ভিতর চোখ দিয়ে দেখুন। যা কিনা আপনি আমাকে শিখিয়েছিলেন…