আমির হোসেন,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার নতুন (ওসি) অফিসার ইনচার্জ মোঃ কাউসার আলম যোগদানের পর আবারও শুরু হয়েছে ভারতীয় পণ্য চিনি, মাদক বিড়ি, কসমেটিকস ও ফলের ব্যবসা। জানা যায় সরকার পতনের পর ব্যাপক ভাবে রদবদল হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার থানা গুলোতে।
নতুন করে পুলিশ প্রশাসনে এই রদবদলের কারন ছিল পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে পুলিশ নিরলস ভাবে নতুন স্বাধীন দেশে জনগণের ভরসাস্থল হিসেবে আস্থার জায়গা করে নিবেন। কিন্তু রক্ষা করার পরিবর্তে পুলিশ যদি নিজেরাই চোরাকারবারীদের সাথে ব্যবসায় জড়িয়ে যান সেখানে কিছুই করার থাকেনা। কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারনে পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট কলঙ্কিত হন সেই চিন্তা মাথায় না রেখে নিজেদের পকেট ভারী করতে মরিয়া হয়ে উঠেন অনেকেই।
যার রুপ রেখার প্রতিফলন এবার ঘটতে চলেছে বিশ্বম্ভরপুর থানায়? জানা যায় বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কাউসার আলম, তিনি যোগদানের তিন দিনের মাথায় চালু হয়েছে আবারও ভারতীয় চোরাকারবারীদের রমরমা ব্যবসা।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় চালবন পয়েন্টে বিশ্বম্ভরপুর পুলিশের চেকপোস্টে অবস্থানরত ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে প্রতিটি চিনি, ভারতীয় মাদক, বিড়ি, কসমেটিক্সসহ চোরাইপথে আসা প্রত্যেকটি ট্রাক গাড়ি চেক করে পাস দেওয়া হয় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। যেখানে অবৈধ মালামাল আটক করে থানায় নেওয়ার কথা সেখানে উল্টো পুলিশ মহড়ায় নিরাপদে চোরা কারবারিদের সুযোগ করে নিরাপদে ব্যবসা করার পথ করে দিচ্ছেন পুলিশ। এছাড়াও সুনামগঞ্জ সদর থানা,ডিবি পুলিশের মনোনীত লোকদের দিয়ে টাকা উত্তোলনের দৃশ্য দেখা যায় ঐ চালবন পয়েন্টে। শুধু তাই নয় যে সকল সাংবাদিকরা রাতে ঐ সমস্ত রঙ্গ লীলার দৃশ্য দেখেন তাদেরকে ম্যানেজ করা হয় । পুলিশ যেখানে ম্যানেজ হন সেখানে গণমাধ্যম কর্মীরা বাধ্য হন ম্যানেজ হতে। কি আর করা প্রশাসন যেখানে চোরাকারবারীদের ভারতীয় পণ্য ব্যবসায় সহযোগিতা করছেন সেখানে সাংবাদিকরাও অসহায় হয়ে পুলিশের সাথে তাল মিলিয়ে চলছেন। সব মিলিয়ে সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ভারতীয় চোরাই ব্যবসা ভালই জমজমাট। আর এসব বিষয়ে কিছু বলতে গেলে অথবা বাঁধা দিতে গেলে সাংবাদিকদের পড়তে হয় মিথ্যা মামলা অথবা চোরাকারবারীদের হুমকির মুখে।
বর্তমান পুলিশ সুপার ঐ সমস্ত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকলেও ডিউটিতে থাকা দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা পুলিশ সুপারের চোখ ফাঁকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অপরাধ কর্মকাণ্ড। প্রতিদিন গভীর রাত ৩টা থেকে ভোর সকাল ৭টা পর্যন্ত চলে ভারতীয় পণ্য চিনি,মাদক,বিড়ি ভর্তি টাক চলাচল। চালবন পয়েন্টে, বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের চেকপোষ্ট, আব্দুর জহুর সেতুর টোলের পাশে সদর থানা পুলিশের চেকপোস্ট, ডিবি পুলিশের মনোনীত ব্যাক্তির উপস্থিতিতে চলছে এসব কর্মকাণ্ড। রাতে ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা ভারতীয় চিনির ট্রাক চেক না করে কয়টি ট্রাক যাচ্ছে সে গুলো গণনা করার দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু ঐ সমস্ত ভারতীয় পণ্যবাহী গাড়ি আটক করার কোন ডিউটি পালন করছেন না তারা। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া হয় চোরাকারবারীদের।
পুলিশ সুপার যোগদানের পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি সুনামের সাথে এসেছেন সুনাম অর্জন করে যাবেন। কিন্তু উনার এই প্রতিশ্রুতি বিনষ্ট করে চলেছেন রাতে ডিউটিতে থাকা থানা পুলিশের কিছু সদস্যরা। পুলিশ সুপার মহোদয় গোপনে অনুসন্ধানের মাধ্যমে ঐ সমস্ত চোরাকারবারীদের ও জড়িত অসাধু পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন গণমাধ্যমসহ সুশীল সমাজের লোকেরা।