রফিকুল ইসলাম জিলু, ব্যুরো প্রধান ঢাকাঃ ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় মো. রমজান নামের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মোশাররফ হোসেন নামের কথিত বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। এ ঘটনায় তার ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. জালাল উদ্দীন। এর আগে আজ সন্ধ্যায় ডিএমপির মোহাম্মদপুর হতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত মোশাররফ হোসেন ঢাকা জেলা আন্তঃট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকছিলেন।৫আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি নিজেকে বিএনপি নেতা বলে দাবি করেন। কথিত এই বিএনপি নেতা সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার মৃত শাহজাহান ব্যাপারীর ছেলে। অন্যান্য আসামিরা হলেন, মোশাররফ হোসেনের গাড়ি চালক মো. লিটন (৩০), একই এলাকায় মৃত শাহজাহান ব্যাপারীর ছেলে মো. রাকিব হোসেন (৩০) ও মো. সজল (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রমজান মিয়া সাভারের হেমায়েতপুরের মৃত আলী খাঁনের ছেলে। তিনি গ্লোব কোম্পানির পরিবেশক হিসাবে ব্যবসা করে আসছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মো. রমজান মিয়া সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় মোরছালিন ভ্যারাইটিস স্টোর নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছিলেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ মোশাররফ হোসেন ও তার বাহিনী ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল।
দাবিকৃত চাঁদা না দিলে গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০ টার দিকে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রমজানকে মোশাররফের অফিসে তুলে নিয়ে যায় তার বাহিনী। পরে দাবিকৃত চাঁদা চেয়ে বেধড়ক মারধর করে। এসময় রমজানের পকেটে থাকা ব্যবসার ১ লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় মোশাররফ। বাকি ১ লাখ টাকার জন্য হেমায়েতপুরের গ্রীন সিটি সংলগ্ন মোশাররফ হোসেনের ব্যক্তিগত অফিসের পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে পিঠমোড়া দিয়ে বেধে রাত ২ টা পর্যন্ত লোহার রড ও কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ব্যাপক আহত করে।
পরে মোশাররফ তার হাতে থাকা অস্ত্র বের করে তার পায়ে গুলি করে এবং তারা হেমায়েতপুর ভাঙা ব্রিজের পাশে রমজানকে ফেলে চলে যায়। এঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় তার ভাই রমজানকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মোশাররফসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী রমজান।