ডেক্স রিপোর্ট: রাফাহ শহর – যে শহরের প্রতিটি অলিগলি একদিন ছিলো জীবনের স্পন্দনে মুখর, আজ তা শুধুই ধ্বংসস্তূপ। এক লাখ সতেরো হাজার মানুষের সেই শহরে আজ নিঃসাড় নীরবতা। বাঁচার জন্য চিৎকার নেই, কান্নার আওয়াজ নেই, শুধুই ধোঁয়া, ধ্বংস আর রক্তের গন্ধ। রাফাহ আজ মৃতদের শহর, যেখানে জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানে কোনো সীমানা নেই।
ইসরাইল, বিশ্বের সর্বশেষ সন্ত্রাসীর মতো আচরণ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে পবিত্র আল-আকসা মসজিদকেও—যেখানে কোটি মুসলমানের কেবলা প্রথম ছিল। আল্লাহর ঘরে আগুন, ধ্বংস আর অপমান – আর বিশ্ব বসে আছে চোখ বুঁজে। তারা দেখে, কিন্তু কিছু বলে না। তারা জানে, তবুও কিছু করে না।
এই মুহূর্তে গাঁজাবাসীরা পাখির মতো উড়ে যাচ্ছে। বোমার শব্দে জেগে ওঠে যারা, তারা আর ঘুমাতে পারে না। যারা ঘুমিয়ে থাকে, তারা জেগেই আর উঠে না। কোনো মায়ের কোলে আর সন্তান নেই, কোনো বাবার কাঁধে আর সংসারের বোঝা নেই – কারণ পরিবার বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই।
শিশুরা ডুকরে কাঁদে, কিন্তু তাদের কান্নার প্রতিধ্বনি পৌঁছায় না কোনো রাষ্ট্রনায়কের কর্ণকুহরে। নিষ্পাপ কোমলমতি চোখগুলো আর স্বপ্ন দেখে না – তারা কেবল মৃত্যুকে দেখতে শিখেছে। স্কুলব্যাগের বদলে আজ তাদের হাতে রক্তমাখা শুয়ে থাকা পেন্সিল, তাদের বইগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আকাশে।
একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার এই মহাযজ্ঞ চলছে সভ্যতার আলোয় উদ্ভাসিত একবিংশ শতাব্দীতে। কিন্তু কেউ জবাব চাইছে না। কেউ সাহায্যের জন্য আর হাত বাড়ায় না। তারা ক্লান্ত, তারা ক্ষতবিক্ষত, তারা মৃতপ্রায়।
রাফাহ আজ নিঃসঙ্গ। গাঁজা আজ পরিত্যক্ত। ফিলিস্তিন আজ বিধ্বস্ত। আর আমরা? আমরা কেবল চোখের পানি মুছে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় নীরবতা পোস্ট করি। অথচ এই নীরবতা, এই নিষ্ক্রিয়তা – এই জাতির সবচেয়ে বড় পরাজয়।