ইব্রাহিম আলম সবুজ, রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ শফিউল ইসলাম সোহাগ সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সক্রিয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। গত ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারীর ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংসদীয় আসন ভিত্তিক সমন্বয়ক টিমের কুড়িগ্রাম দুই আসনের দায়িত্ব পালনে শফিউল ইসলাম সোহাগ কে মনোনীত করেন।
নিবার্চনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে এলাকায় অত্যান্ত প্রভাবশালী বনে যান। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার বাবা রাজারহাট উপজেলার ডাংরারহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী নিয়োগ বানিজ্য করে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন। তাদের এই নিয়োগ বানিজ্যর সহযোগিতা করেন রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুনুর মোঃ আখতারুজ্জামান। আবুনুর মোঃ আখতারুজ্জামান একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ায় তার স্ত্রী কে সভাপতি বানিয়ে নিয়োগ বানিজ্য সম্পূর্ণ করেন। ছেলে ছাত্রলীগের বড় নেতা হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে ম্যানেজ করে এই নিয়োগ বানিজ্য করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের ক্ষমতার দাপটে ছিলো অসহায়।
কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজের খোলসও পাল্টে ফেলেন।রাতারাতি বনে যান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্বনয়ক।জুলাই-আগস্ট গনঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগে জুলাইয়ের ১৮ তারিখ পযন্ত শফিউল ইসলাম সোহাগ সিলেটে ছাত্রলীগের পেটুয়া বাহিনী হিসাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষাথীদের উপর হামলা চালান। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাত্রা তিব্র হলে শফিউল ইসলাম সোহাগ নিজ গ্রাম রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাটে চলে আসেন। ২০শে জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন প্রোগ্রামে সোহাগ দেখা না গেলেও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিজয় মিছিলে কৌশলে অংশ নিয়ে নিজের খোলস পাল্টিয়ে সম্বনয়ক বনে যান।
স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসী বলেন ৫ই আগস্টের পর থেকে সোহাগ কে তারা বাড়িতেই দেখছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খুললেও তার বাড়িতে অবস্থান করা সন্দেহজনক মনে হয়। একজন ভুক্তভোগী দুঃখ প্রকাশ করে সাংবাদিক কে বলেন ভাই আওয়ামী লীগের কোন সংগঠনে আমার না থাকা সত্বেও পুলিশ কে ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে হয়রানি করাচ্ছে। এছাড়াও তার পারিবারিক দ্বন্দ্ব যাদের যাদের সাথে আছে তাদের কে পুলিশের ভয় দেখিয়ে মামলার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা অসহায় আমাদের পাশে আপনারা সাংবাদিক হিসেবে দাড়ান ভাই। সোহাগের ছাত্র সম্বনয়ক পরিচয় দেবার বিষয়ে রাজারহাট উপজেলার অন্যতম সম্বনয়ক আল মিজান মাহিন বলেন, ইউনিয়ন ও উপজেলার কোন কমিটিতে শফিউল ইসলাম সোহাগের কোন নাম নেই।