ইব্রাহিম আলম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরায় তিস্তার প্রবল ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। অপরদিকে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহাট স্পার বাধটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বুড়িরহাট স্পার বাধে সামনে স্রোতের গতি ধারা পরিবর্তনের জন্য একটি সুইচ গেট নির্মাণ করা হয়।
কিন্তু গত দুইদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের সিকিম হতে নেমে আসা পাহারী ঢলের কারনে প্রবল স্রোতের রূপ নেয় আগ্রাসী তিস্তানদী। এই স্রোতের গতিবেগের কারণে বুড়িরহাটের স্পার বাধের ডান দিকের অংশ ডেবে যায় এবং সামনের অংশ যে কোন মহুর্তে তিস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল মিয়া,সিরাজুল হক,আলম মিয়া সহ অনেকে।
তারা মনে করেন যেভাবে তিস্তানদীর স্রোত বাড়তেছে এভাবে থাকলে পুরা বুড়িরহাট স্পার বাধটি তিস্তানদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আর এই স্পার বাধটি ভেঙ্গে গেলে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গতিয়াসাম, খিতাবখা, মেদনী সহ বিদ্যানন্দের রামহরি চতুরা সহ প্রায় ১০টি গ্রামের ১০হাজার পরিবার তিস্তানদীর ভাঙ্গনের শিকার হতে পারে। তাই এখনই জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরে কিচ্ছু করার থাকবে না। বিদ্যানন্দের চতুরা কালির মেলা বাজারের সুরেশের চায়ের দোকান ও বাড়ি ইতিমধ্যে তিস্তার ভাঙ্গনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।চতুরা কালির মেলা বাজার সহ একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মসজিদ ঝুকিতে রয়েছে। স্থানীয়রা মনে করেন জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে তিস্তার পানি কমার সাথে সাথে ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যেতে পারে পুরা বাজারটি সহ স্কুল ও মসজিদ। চতুরার তিস্তানদীর তিরবর্তী এরশাদুল হক,লতিফ মাস্টার,মিলন সরকার সহ প্রায় ৪০ টি পরিবার তিস্তার ভাঙ্গন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। তারা দাবী করেন দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে এই ভাঙ্গন ঠেকানোর।
এঘটনায় গত মঙ্গলবার ১৮জুন রাত ১১ঃ০০ ঘটিকায় রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রাফসান জানি বুড়িরহাট স্পার বাধ ও চতুরা কালিমেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রাফসান জানি বলেন, রংপুর বিভাগের চিফ এর সাথে কথা বলে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন ঠেকানোর ব্যবস্থা করবেন।
এবিষয়ে রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী বলেন, আমি নিয়মিত ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগযোগ রাখছি। যাতে আর একটি পরিবারও তিস্তানদীর করাল গ্রাসের ভাঙ্গনের শিকার না হন।