কলকাতা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আলু পেঁয়াজ থেকে তাই কলকাতায় আজকের ঘটনা । অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে। রফতানি না করায় জোগান বেড়ে যাওয়ায় ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় ভারতের কৃষকরা পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বলেও ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে হারুন উর রশীদ বলেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। সে দেশের কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজের দাম পড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে পেঁয়াজ নিয়ে দেশটির অভ্যন্তরে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন দেশটির ব্যাঙ্গালোর, নাসিক, ইন্দোর অঞ্চলের কৃষকরা ইতোমধ্যেই বলেছেন, পেঁয়াজ রফতানি শুরু করেন, তা না হলে তারা ভারতের বাজারেই পেঁয়াজ বিক্রি করবেন না।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা আশা করছি, কৃষকদের সেই বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এমনও হতে পারে, ইচ্ছা থাকলেও খুব বেশি দিন তারা পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখতে পারবে না। পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে হতে পারে। খুব কম সময়ের মধ্যে আবারও পেঁয়াজ রফতানি শুরু হতে পারে বলেও আমরা ভারতীয় রফতানিকারকদের মাধ্যমে জেনেছি।
এই ব্যবসায়ী নেতা আরও জানান, ভারত সরকার গত সোমবার থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় শুধু হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকদের ২৫০ ট্রাক পেঁয়াজ দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় লোডিং অবস্থায় ভারতের বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে। লোডিং থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৯-১০ দিন পার হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টির কারণে এসব পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় আগামী দুই-একদিনের মধ্যে এসব পেঁয়াজ রফতানি না করলে, আমরা আমদানিকারকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। একইসঙ্গে আমাদের যে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি দেওয়া হয়েছিল, তার কার্যক্রমও স্থগিত রেখেছেন তারা।