মিরু হাসান,স্টাফ রিপোর্টার: ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বগুড়ায় পাঁচ দিনব্যাপী স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সৈনিক-জনতা এক অদম্য শক্তিতে রাজপথে নেমে এসেছিলো জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লবের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি আরো বলেন, ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে বিপ্লব ঘটেছিলো এবং জিয়াউর রহমান বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। এই অবিস্মরণীয় বিপ্লবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী সত্তা লাভ করে।
সেই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। তারপরেও চক্রান্ত থেকে থামেনি। বিদেশি শক্তির অনুচররা তাদের উদ্দেশ্য সাধনের পথের কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে দেশমাতৃকার বীর সন্তান রাষ্ট্রপতি জিয়াকে হত্যা করে। জিয়া শাহাদাত বরণ করলেও তাঁর আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
প্রধান অতিথি বাদশা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর জাতি ফ্যাসিস্ট হাসিনার দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেলেও দেশে এখনও গণতন্ত্র ফিরে আসেনি। দেশে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে লড়াই-সংগ্রাম করে যাচ্ছে বিএনপি।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন-নবী সালাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শাহরিয়ার গোর্কি প্রমুখ।
পাঁচ দিনব্যাপী স্থিরচিত্র প্রদর্শনী উপলক্ষে এদিন বিকেলে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় শহরের সাতমাথায় প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।