মিরু হাসান, স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় ট্রেনে নারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাসহ চারজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।গত শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে ট্রেন থেকে নামার পর রেলস্টেশনের পাশে এই হামলা হয়।
আহতরা হলেন – বগুড়া চকসূত্রাপুর এলাকার ফারুকের ছেলে এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা যোবায়ের (২৩), মিজানুর রহমানের ছেলে পিয়াল (২০), আব্দুস সালামের ছেলে নাঈম (১৮) এবং মৃত শাহিনুরের ছেলে র্পোটারতানভীর (২০)। এ ঘটনায় ১৫জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দীন। আহত যোবায়েরের বাবা৷ ফারুক হোসেন বলেন, সোনাতলা থেকে পিয়াল আর রিফাত পদ্মরাগ ট্রেনে আসতেছিল। সেই বগিতে সেউজগাড়ীর ইমন, মঈন, মুন্নাসহ চারজন যুবক একটি ব্যাগ রাখে। সেই ব্যাগ দুই নারীর উপর পড়ে গেলে পিয়াল আর রিফাত ব্যাগ সরিয়ে রাখতে বলে। এসময় ইমনেরা ওই মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে এবং পিয়াল ফারুককে স্টেশনে নেমে মারার হুমকি দেয়। এ ঘটনা যোবায়েরকে ফোন করে বিস্তারিত জানায় পিয়াল। পরে যোবায়ের স্টেশনে পিয়াল আর রিফাতকে নিতে যায়।
ট্রেন থেকে নামতেই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল মুখোশ পরে লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে যোবায়েরদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় যোবায়েরসহ চারজন গুরুতর আহত হন এবং ছুরিকাঘাতের শিকার হন তারা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
যোবায়ের বাবা আরও বলেন, স্থানীয়রা জানিয়েছে ইমন, মঈন ও মুন্না ছিনকারী। এদের দল অনেক সক্রিয়। তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১২জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি।এদিকে, বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান বলেন, যোবায়েরের এখন কোন পদ না থাকলেও আমাদের ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা।
যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি দাবি করছি। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় রাতেই মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।