মুক্ত কলম নিউজ ডেক্সঃ ঠাকুরগাঁও ভুল্লী থানার সচেতনা মুলক প্রকাশ ফেসবুকে যাকে তাকে বন্ধু বানাবেন না। বিশেষ করে বিদেশি কোনো পুরুষ বা নারীকে তো নয়ই। বিদেশি কিছু পুরুষ বা মহিলা কৌশলে বাংলাদেশের সরলমনা মানুষের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। একসময় প্রতারক বিদেশিরা ডলার, পাউন্ড, ইউরোর লোভ দেখায়। তারা বাংলাদেশি বন্ধুর কাছে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ফোন দিয়ে কথা বলে ভাব জমায়। একসময় তারা বাংলাদেশি বন্ধুকে মোটা অঙ্কের ডলার/ ইউরো/পাউন্ড বা ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, আইফোন পাঠিয়েছে বলে জানায়।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর বা ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে ডলার বা মূল্যবান দ্রব্যগুলো বুঝে নেওয়ার জন্য বলে। বিদেশি প্রতারকরা তাদের বাংলাদেশি এজেন্টদের আগেই বিষয়টি জানিয়ে দেয়। বাংলাদেশি এজেন্টরা বাংলাদেশি ওইসব ভিকটিমদের ফোন করে জানায়, আমি একজন কাস্টমস কর্মকর্তা, আপনার নামে ডলার বা মূল্যবান দ্রব্য সমুদ্রবন্দর বা বিমানবন্দর কাস্টমস অফিসে এসে জমা হয়েছে।
এজেন্টরা আরও জানায়, ডলার বা মূল্যবান দ্রব্য অবৈধ পথে এসেছে, একারণে ওগুলো ছাড় করতে মোটা অঙ্কের টাকা লাগবে অথবা মামলা করার হুমকি দেয়। ভিকটিম লোভের বশবর্তী হয়ে বাংলাদেশি এজেন্টকে উৎকোচস্বরূপ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বা বিকাশের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠায় বা পাঠাতে বাধ্য হয়। অনেক সময় বিদেশি প্রতারক বন্ধুরা বিদেশে অবস্থান করে বা বাংলাদেশে অবস্থান করেও এরূপ প্রতারণার কাজটি করে থাকে।
২০১৭ সালে ঢাকা সিআইডি-তে কর্মরত থাকাকালীন আমরা একই ধরনের প্রতারণার সাথে সম্পৃক্ত ৫ জন নাইজেরিয়ান নাগরিক ও ২ জন বাংলাদেশি এজেন্টকে গ্রেফতার করেছিলাম। তারা সবাই মোহামেডান, আবাহনী ও ফেনি সকার ফুটবল ক্লাবের ফুটবল খেলোয়াড় ছিল। তারা তিনকোটি টাকার মূল্যবান দ্রব্য পাঠানোর মিথ্যা কথা বলে একজন বাংলাদেশি ভিকটিমের নিকট হতে এককোটি ২ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে এই ঘটনাটি দেখানো হয়েছিল। আশা করি সবাই এ ব্যাপারে সচেতন হবেন।