মোক্তারুজ্জামান মোক্তার,পার্বতীপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে প্রিপেইড মিটার সংযোগ বন্ধের দাবিতে আজ ২৭ এপ্রিল সকাল ১১ টায় বাসটার্মিনালে নেসকোর বিরুদ্ধে নাগরিক কমিটি মানববন্ধন পালন করেছে। জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলাধীন নেসকো লিমিটেড বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের আওতাধীন প্রিপেইড মিটার সংযোগের আগাগোড়াই বিরোধীতার কথা বলেন নাগরিক কমিটির বক্তরা।
এছাড়াও কমিটির আহবায়ক আকতার হোসেন বলেন, অহেতুক ডিমান্ড চার্জ, মাসিক লোড ফি, অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ, সেচ বিদ্যুৎ গ্রহকগণের সরকার কর্তৃক ঘোষিত ২০% রিবুটের টাকা সমন্বয় করার কথা থাকলেও নেসকো লিঃ কর্তৃপক্ষ রিবুট সমন্বয় করেন না। এতে বিদ্যুৎ গ্রাহক চরম হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। এ জন্য অতিসত্ত্বর প্রি-পেইড মিটার খুলে নেয়ার কথা কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হয়েছে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
এরপর কিছু দাবি সম্বলিত একটি আবেদন পার্বতীপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ আবাসিক প্রকৌশলী মাসুদ পারভেজের নিকট হস্তান্তর করা হয়। আবাসিক প্রকৌশলীর পক্ষে আবেদন গ্রহণ করে নেসকো পার্বতীপুরের হিসাব রক্ষক গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন , এ ব্যাপারে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। পরবর্তীতে পার্বতীপুরে আর কোন প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে না বলে কতৃপক্ষ আমাদেরকে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন।
এদিকে উপজেলা সচেতন নাগরিক কমিটির পক্ষে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন কমিটির আহবায়ক আকতার হোসেন। এসময় তার সাথে ছিলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আজাহার আলী, আশরাফুল আলম বাবলু, আনোয়ার হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, রোকনুজ্জামান, মফিজুল ইসলাম, সদস্য সচিব অলিউল ইসলাম, সদস্য সাইফুল ইসলাম, বকুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন (মানিক), সাদেকুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আবু বক্কর ছিদ্দিক ও আবু তাহের মানিক প্রমুখ। নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি-নেসকো পার্বতীপুরে বিভিন্ন বসতবাড়ি, দোকানপাট, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রিপেইড মিটার সংযোগ কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু করেছে।
অথচ সেবামূলক এই গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের আগে নেসকো কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কোনোরকম মতামত গ্রহণ করেনি। প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হলে গ্রাহকদের অতিরিক্ত চার্জ পরিশোধসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রিপেইড মিটার পদ্ধতিতে গ্রাহকদের আগাম টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ ক্রয় করতে হবে। যতক্ষণ প্রিপ্রেইড কার্ডে টাকা থাকবে ততক্ষণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে, যা সেবামূলক খাতের ধারণার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক।
এরপর পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরও স্মারকলিপি প্রদান করেন মানববন্ধনকারীগণ। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়ার কথা জানান নাগরিক কমিটি।