সৈয়দপুর নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী নীলফামারীর সৈয়দপুরে রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের চ্যাংমারি পাড়া থেকে পোড়াহাট জিসি সড়ক নির্মাণকাজ ২০ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও ৫১ মাসেও তা’ সম্পন্ন না হওয়ায় প্রায় ১৫ হাজার এলাকাবাসী চলাচল করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
দুই কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০ ফুট প্রস্থের এ সড়কটি নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান মেসার্স খায়রুল কবির রানা নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। অথচ, তিনদফা সময় বাড়িয়েও কাজটি শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কবে নাগাদ শেষ হবে তাও বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর। যার ফলে সড়কের দুই পাশের প্রায় ১৫ হাজার এলাকাবাসী চলাচল করতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি শুরু হওয়া ওই সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ ২০ মাসে কাজ শেষ করে জন-সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বার-বার তাগিদ দেওয়া সত্বেও শেষ করা তো দুরের কথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চাপে সংশ্লিষ্ট দপ্তর তিনদফা সময় বৃদ্ধি করেছেন। কিন্তু, অভিযোগ রয়েছে তারপরেও কাজে কোনো গতি ফিরেনি। ধরিগতিতে কাজ চলায় সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।
সংবাদকর্মীরা সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, রাস্তা ১০ ফুট চওড়ার জায়গায় স্থানভেদে সাড়ে ৯ফুট থেকে পৌনে ১০ ফুট করা হয়েছে। নি¤œমানের ইট বিছানো হয়েছে। এমনকি রাস্তার দুই ধারের মাটিও ঠিক করা হয়নি। সড়কে খোঁয়া বিছানোর আগে বালু ও পানি পরিমাণমত ব্যবহার করা হয়নি। রোলার চালিয়ে রাস্তার বিছানো ম্যাটেরিয়াল (বেড) মজবুতও করা হয়নি। যার ফলে রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ হলেও এ রাস্তা অল্পদিনেই নষ্ট হবে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট এলাকার সাইদুল ইসলাম, শফিকুল, রহিম, জাহানারা, আলিম, মরিয়মসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হতে চললেও সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হচ্ছে না। বর্ষাকালে রাস্তার ওপর দিয়ে চলাচল করতে স্থানীয়দের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। আর যতটাকু কাজ হয়েছে এবং এখন হচ্ছে তা’ নি¤œমানের দাবি করে তারা স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্মাণকাজ তদারকির দাবি জানান।
এনিয়ে কথা বলতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তাদের প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পাওয়ায় তাদের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশলী একেএম আলী রেজা রাজু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণকাজ শেষ করার বার-বার তাগিদ দেওয়ার কথা স্বীকার করে সংবাদকর্মীদের জানান, ডিবিসি টেস্ট এবং এলএএ ভ্যালু না থাকলে ঠিকাদার বিল পাবেন না।