নাগরিক ভাবনা,মারিয়াম সুফী: পশ্চিমে তখনও থমকে ছিলো গোধূলিতে রাঙ্গা আকাশের সিথি বোহিত্র, বৈঠার মধ্যে প্রাণপণ গতি পাড়ের আপেক্ষায়,
প্রতিযোগিতা জয়ের তাড়া, তখন ঘরের ছেলে ঘরের মেয়েদের….তিলোত্তমা, তুমি ব্যস্ত?
রক্তিম আকাশটা কালো ঘোমটা মাথায়
কর্ণমূলের পাশের চুলের দুলুনিতে
চিড় ধরেছে অহংকারী কাঁধের চর্মখাঁজে
পাদুকার ধ্বনির তালে, নৃত্য জুড়েছে কেবল
ললাট দেশের কূপে বিন্দু বিন্দু জমা ঘর্মে।
একি তিলোত্তমা তুমি ভয় পাচ্ছ?
তখন শুধু হুল্লোড়, কাঠে কাঠে ঠোকাঠুকি
ধাতুর ঝনঝন, হওয়ার সনসন
স্থিতিশক্তির গতিশক্তি তে রুপান্তর,
ব্ল্যাকবোর্ডে কালো পিচ গলে,
হুহু করে বয়ে চলেছে,
এই বুঝি ঢুবে গেলো, এই বুঝি ভেসে যাবে
সেকি তিলোত্তমা তুমি কাঁদছো?
এবার সব নিশ্চুপ, নিঝুম,
পালা পালা রবের ফিসফিসানি,
অন্ধকারের কালো রঙ নীলিমায় আচ্ছাদিত
উষ্ণ শোণিত, সেই নীলিমায় ছড়িয়ে পড়ে যত্রতত্র
ঠিক যেনো বানভাসি,
ঠিক যেনো নীল সমুদ্র,
ঠিক যেনো শীতল তটিনী
এই তিলোত্তমা, তুমি নিশ্চুপ কেনো?
তারপর,
অনেক আগুন জ্বললো
অনেক গর্জন, অনেক হৈচৈ
অনেক শব্দে দিয়ে গড়া শব্দমালা,
ল- অর্ডার, ধর্মাধিকরণ প্রমাণ- স্বাক্ষী,
অনেক টানাপোড়েন, ঘটা করে ধর্ম এলো
রাজনীতি এলো মুখোশ পড়ে
লিঙ্গভেদী সতীত্ব প্রশ্ন মাথাচাড়া দিলো
সমালোচনা দরজা জানালায়, ঘরে ঘরে।
তিলোত্তমা, তুমি কি স্তব্ধ?
অনেক দিন হলো মোমবাতি নিভে গেছে,
পূর্বাকাশে নবরবির নিস্পলক চাওনি
বাতাসের বারুদের গন্ধ উধাও
ব্ল্যাকবোর্ডে চকের দাগ পড়েছে
অ এ অজগর আসছে তেড়ে
এ ফর অ্যাপ্পেল
নাম ডাকার খাতায়, অনেক নতুন নাম উঠেছে।
তিলোত্তমা? তিলোত্তমা তুমি আছো?
তিলোত্তমা তুমি কোথায়???
তিলোত্তমা তুমি কি ঘরের কোণে, খিল তুলেছ?
না অন্য কোথাও?
কোথায় তুমি তিলোত্তমা?
তুমি কোথায়?
তুমি কোথায়?
তুমি কোথায়?