মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সম্প্রতি পাঁচ শত কোটি টাকা লুটপাটের মাধ্যমে ক্রয়কৃত নিম্নমানের প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবীতে স্মারকলিপি দিয়েছে নেসকো পিএলসির আওতাধীন বিদ্যুৎ গ্রাহকগন।
স্মারকলিপি সুত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সাল থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর মাধ্যমে ২০১৭ ইং সাল পর্যন্ত গ্রাহকগন বিদ্যুৎ এর ব্যবহার করে আসছে। গত স্বৈরশাসকের আমলে ২০১৭ ইং সালে মধ্যস্বত্ব ভোগী নেসকো কোম্পানি হিসাবে স্বৈরশাসক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বান্ধবীর ছেলেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে পদায়ন করে নেসকো কোম্পানির কাছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হস্তান্তর করে। মধ্যস্বত্ব ভোগী নেসকো কোম্পানি হওয়ার পর থেকেই লাগামহীন একের পর এক বাড়তি চার্জ বসিয়ে বর্তমানে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়েছে। যা বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চার্জ ও নেসকো কোম্পানির চার্জ সমন্বয় করলে স্পষ্ট বোঝা যায়। বর্তমানে নতুন করে মানুষের পকেট কাটার মেসিন হিসাবে প্রিপেইড মিটার সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন তারা। নেসকো কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত চলমান। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে নেসকোর বাড়তি চার্জ সইতে পারছে না এলাকার সাধারণ গ্রাহকগণ। এরই মধ্যে যদি এই বিতর্কিত প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয় তাহলে তা হবে মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। এই মিটার ক্রয়ে ইতিমধ্যে পাঁচ শত কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এই প্রিপেইড মিটার টি অতি মূল্যায়িত হওয়ায় গ্রাহকের ঘাঁড়ে তা আদায় করা হবে।
প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হলে গ্রাহকরা আরও যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হবে তা হলো,জনগণের পকেট কাটার স্মার্ট ফন্দি প্রিপেইড মিটারের জটিল ব্যবস্থাপনা ও র্দুনীতি গ্রস্থ নিম্নমানের প্রিপেইড মিটার স্থাপন নি:স্প্রয়োজন, হাইকোর্ট বিভাগে এ সংক্রন্ত রিটের নিস্পত্তি না করেই তড়িঘড়ি করে তারা প্রিপেইড মিটার স্থাপনের চক্রান্ত করছে যা আইনের পরিপন্থী, কৃষি কাজে ব্যবহ্রত সেচ পাম্পগুলো মৌসুমের শুরুতে বাকিতে সার, বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, তারপর ফসলতুলে বিক্রি করে পরিশোধ করে, বিদ্যুৎ ব্যবহার করার আগেই মিটার ভাড়া, ভ্যাট ও ডিমান্ড চার্জ কেটে নিবে- অথচ বিইআরসির নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহ্রত সাভির্জ চার্জ, ডিমান্ড চার্জ ও ভ্যাটসহ বিদ্যুৎ তের দাম নিধারণ করে।
এর বাহিরে কোন প্রকার চার্জ নেয়ার সুযোগ না থাকলেও আবারও ওই চার্জগুলো দ্বিতীয় বার আদায় করছে, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট না থাকলে রিচার্জ করা যাবে না, মোবাইলের মত মিটারে বিভিন্ন অপশন রয়েছে, যা সহজে গ্রামের অশিক্ষিত, সহজ সরল গ্রাহকগন ব্যবহার করতে পারবে না, রিচার্জের সময় কোড নম্বর ভুল হলে লক হওয়ার সম্ভাবনা আছে- লক হলে ততক্ষণ বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হবে, বর্তমান মিটার টি গ্রাহক সন্তুষ্টির সাথে ব্যবহার করছে, মিটার টি সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ইলেকট্রিশিয়ান পাওয়া যায় না,, প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হলে হাজার হাজার কর্মচারী বেকার হয়ে যাবে।
এ ব্যাপার ডোমার বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সভাপতি গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব জানান, গত মাসে ২৬ তারিখে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার ডোমারে আসার কথা ছিল, কিন্তু সচিবালয়ে আগুন ধরায় উনি নীলফামারী থেকে ফিরে যান। উনার হাতে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়াও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী, এমপি,বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও মিটার আমদানি কারক কোম্পানির নীল নকশার ভোগান্তিতে আমরা পড়তে চাই না। দূর্নীতি জিতলে হেরে যাব বাংলাদেশ। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বিপিএএ বলেন, স্মারকলিপি টি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে পাঠানো হয়েছে।