হরিপুর প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও হাজার বছরের বাঙালীর জাতির ঐতিহ্যবাহী এই দিনটি বহুল কাঙ্ক্ষিত বাংলা নববর্ষ । সকল জাতীর নিজস্ব স্বকীয়তা আছে। বাঙালী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য সংস্কৃতির ধারক বাহক, মোঘল সম্রাট আকবর শাহ আমলে থেকে পহেলা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষ হিসেব ধরে তৎকালীন সময় থেকে বঙ্গ প্রদেশে এই দিনটিতে বাঙালীর ঐতিহ্য সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখকে এই উৎসব পালিত হয়।
সেই ধারাবাহিকতায় উত্তর বঙ্গে নেকমরদ ঐতিহাসিক মেলা বসত।কালে পরিক্রমায় আজ সেই মেলার জৌলুস হারিয়েছে। বাংলা নববর্ষ পালনে হরিপুরে এই উৎসবটিতে বৈশাখী শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, পুরস্কার বিতরণ, ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে।
বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী গান গেয়ে এসো হে বৈশাখ এসো “শুভ নববর্ষ” ১৪৩২ খ্রীঃ বর্ষবরণ করা হয়। বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মো. আরিফুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরিপুর ঠাকুরগাঁও উপাধ্যক্ষ মো.জামাল উদ্দিন, সভাপতি, উপজেলা বিএনপি হরিপুর ঠাকুরগাঁও।
আলহাজ্জ মো.আবু তাহের,সা.সম্পাদক, উপজেলা বিএনপি, রুবেল হোসেন,উপজেলা কৃষি অফিসার ডা. সোহাগ রানা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল হরিপুর ঠাকুরগাঁও।রাইহানুল হক মিয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হরিপুর-ঠাকুরগাঁও
মো.জয়নুল,সিনিয়র লিডার,ফায়ার সার্ভিস ২০১৬ সালে, ইউনেস্কো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এই উৎসব শোভাযাত্রাকে “মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে ঘোষণা করে।
আধুনিক নববর্ষ উদ্যাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওয়া যায়।নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, বাঙালী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ধারক নানান জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িঘর পরিপাটি করে সাজানো হয়।
এবং বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। কয়েকটি গ্রামের মিলিত হয়ে মেলার আয়োজন করা হয়, বৈশাখী মেলায় নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। হরিপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, ইলিশ মাছ, শুঁটকি ভর্তা,পেঁয়াজ ভর্তা,কালাই ভর্তা দিয়ে পান্তাভাত আয়োজন করা হয়। ।