দবিরুল ইসলাম, বালিয়াডাঙ্গী ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শ্যালকের লাঠির আঘাতে আনসারুল হক (৫১) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই মমিনটলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আনসারুল হক মমিনটলা গ্রামের মৃত নিয়াসু মোহাম্মদের ছেলে।
অভিযোগ ওঠা চাচাতো শ্যালকের নামও আনছার আলী। তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনার পর শ্যালক আনছারের ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে (৩০) আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আট শতক জমি নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস-বৈঠক করা হলেও মীমাংসা হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিরোধ চলা জমিতে হালচাষের পর ভুট্টার বীজ বুনছিলেন আনসারুল হক ও তাঁর ছেলে এনামুল হক এবং স্ত্রী সেকিধন।
এ সময় তাঁদেরকে বাধা দেন শ্যালক আনছার আলী ও তাঁর ভাই নজরুল ইসলাম এবং তাঁদের লোকজন। দুপক্ষের মধ্যে মারপিট শুরু হলে শ্যালকের লাঠির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দুলাভাই। স্থানীয়রা উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আনসার আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে এনামুল হক অভিযোগ করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ শুরু পর থেকেই বাবাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন আনছার আলী মামা। আজ সকালবেলা ভুট্টা লাগানোর সময় কেউ বাধা দিতে যায়নি। দুপুরে হঠাৎ করেই লাঠিসোঁটা নিয়ে মামা লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। বাবাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আইয়ুব আলী জানান, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচাতো শ্যালকের লাঠির আঘাতে দুলাভাই মারা গেছেন। আমরা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জানতে বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজনসহ আনছার আলী আত্মগোপনে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী জানান, প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামের যুবককে স্থানীয়রা ধরে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছেন। নিহতের পরিবার এজাহার দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।