স্টাফ রিপোর্টঃ ঠাকুরগাঁওয়ে মোমবাতির স্বল্প আলোয় এসএসসি পরীক্ষা শুরু। সকাল ১০টায় সারা দেশের মতো ঠাকুরগাঁওয়েও একযোগে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা আগ থেকেই জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও বৈদ্যুতিক সমস্যার দেখা দেয়। সকাল ৯টার দিকেই শুরু হয় টানা বৃষ্টি, যা চলে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় অনেক পরীক্ষার্থীকে বৃষ্টিতে ভিজে কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে দেখা যায়। কেউ ভিজে গিয়ে কেন্দ্রে ঢুকেছে, কেউ আবার বই-খাতা ও অ্যাডমিট কার্ড বাঁচিয়ে কষ্ট করে কেন্দ্রে পৌঁছেছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মোট ২২,৭২৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এসএসসি (সাধারণ) শাখায় ১৭,৯৭৭ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে ২,৮০৮ জন এবং কারিগরি শাখায় ১,৯৩৯ জন শিক্ষার্থী। জেলার মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ৪০টি। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার জন্য ২৪টি, মাদরাসা বোর্ডের জন্য ৭টি এবং কারিগরি শাখার জন্য ৯টি কেন্দ্র নির্ধারিত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, বাইরে ঝড়-বৃষ্টি, আবার বিদ্যুৎও ছিল না। আমাদের রুমে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। আলো কম থাকায় প্রশ্ন পড়া ও উত্তর লেখা বেশ কষ্টকর ছিল। আরেক পরীক্ষার্থী নিশি বলে, ভিজে কেন্দ্রে আসতে হয়েছে। ঠাণ্ডায় হাত কাঁপছিল, তারপরও সাহস করে পরীক্ষা দিয়েছি। মোমবাতির আলোয় লেখাও ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না।
পরীক্ষাকেন্দ্রে অপেক্ষারত কয়েকজন অভিভাবক বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টি। ছেলে-মেয়েরা ভিজে কেন্দ্রে এসেছে। কর্তৃপক্ষ আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এই দুর্ভোগ হতো না। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত বড় পরীক্ষা, অথচ বিদ্যুতের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে, এটা খুবই দুঃখজনক।
ঠাকুরগাঁও উপজেলার সালান্দর মাদরাসা শিক্ষক জানান, বৃষ্টিতে শিক্ষার্থীরা কিছুটা মানসিক চাপে ছিল। তবুও তারা সাহস করে পরীক্ষা দিয়েছে। শিক্ষকরা তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন। জেলা শিক্ষা অফিসার শাহিন আখতার মুঠোফোনে বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তীতে যাতে এমনটা না হয় সেজন্য সমস্যাগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।