মোঃ পজিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের চতুর্থ ডোজ টিকা শুরু হয়েছে। তবে গণহারে তা দেয়া হবে না, এ দফায় টিকা পাবেন পাঁচ শ্রেণির মানুষ। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য্ জানানো হয়।এতে বলা হয়, ষাটোর্ধ্ব, সম্মুখসারির যোদ্ধা ও কম রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের এ টিকা দেয়া হবে।
দ্বিতীয় বুস্টার অর্থাৎ চতুর্থ ডোজ হিসেবে ফাইজারের (এমআরএনএ) টিকা ব্যবহার করা হবে। করোনা মহামারির বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার দেশের জনগণকে এ টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃতীয় ডোজ প্রাপ্তির পর ৪ মাস অতিবাহিত হয়েছে-এমন ব্যক্তিদের তা দেয়া হবে। ৬০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তি এ টিকা পাবেন। দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীতে চতুর্থ ডোজ দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, অনুমোদিত বেসরকারি ও প্রাইভেট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত সব সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনা, সম্মুখসারির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সামরিক বাহিনী, বেসামরিক বিমান, রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্ত অপরিহার্য কার্যালয়, সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী, সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিনিধিরা এ টিকা পাবেন।
এছাড়া মৃতদেহ সৎকার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, জরুরি বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পয়োনিষ্কাশন ও ফায়ার সার্ভিসের সম্মুখসারির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, স্থলবন্দরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা ও উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও চিকিৎসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের চতুর্থ ডোজ দেয়া হবে।
তাতে উল্লেখ করা হয়, দেশব্যাপী সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা পর্যায়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে (সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৫০০, ২৫০ ও ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদি) চলমান বুথে করোনার এ টিকা দেয়া হবে।
চতুর্থ ডোজ টিকাদানের জন্য রাজধানীর সাতটি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তা দেয়া হবে।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো করোনা টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। একই বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। এরপর চলতি বছরের ১৯ জুলাই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ১৪ কোটির বেশি মানুষ প্রথম ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন। এ ছাড়া সাড়ে ১২ কোটি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটির বেশি মানুষ।