জ্যান্ত কিংবা লাশ
অলীক থেকে ঝরা,
তীক্ষ্ণ ধারালো বৃষ্টিকণার
আঘাতে ছিন্নভিন্ন ধীরস্থির
স্বপ্নপূরণের বাঁধানো রাস্তাটা।
আজ নাহয় এক রাত্রি প্রতীক্ষাই লিখি
অতিক্রান্ত অভিলাষা গুলো,
চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ভেঙে গেছে ভিন্ন ভিন্ন দিশায়।
একটা তুলসী মঞ্চে,
একটা নামাজ পাটিতে,
অন্য আরেকটা মোমবাতি নিয়ে অনেকদূর,
ঘণ্টাধ্বনির দিকে
অস্পষ্ট অভিজ্ঞতায় ভ্রান্ত হয়ে,
আগুন মাখা ঠান্ডা বিস্ময় গুলো
আজও থমকে দাঁড়িয়ে,
ধর্মতলার মোড়ে নিস্তেজ হয়ে ।
কোনো এক অজ্ঞাত দিশা বারবার
হাতছানি দিয়ে ডাকে
অসংখ্য কঙ্কালের হাত,
শশব্যস্ত হয়ে ছুটে আসে
দূরের কোনো শ্মশান থেকে
নয়তো কাছাকাছি কোনো কবরস্থান।
অসাড় পা শুধু ঝিনঝিন করে ওঠে
অব্যক্ত নিরাশার স্পন্দনধ্বনি।
হয়তো আমি বেঁচে নেই আর,
কিম্বা আমিই বেচেঁ,
বাকি সব জ্যান্ত এক একটা লাশ।