ডা: নূরল হক,বিরামপুর প্রতিনিধি: হিমালয়ের পাদদেশ দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীতে কাঁপছে। বয়ে যাচ্ছে হালকা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ । ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বিরামপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিরামপুরে সর্বোচ্চ ১৪ এবং সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করছে। হিমেল বাতাস কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে । ঘন কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো শিশির কনা গড়িয়ে পড়ছে। তীব্র ঠান্ডায় জীবন জীবিকা থমকে গেছে।
একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে অঞ্চল। দিনের বেলায় আঞ্চলিক মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। দিনভর দেখা মিলছে না সূর্যের। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধ। জীবিকার তাগিদে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সীমাহীন কষ্টে রয়েছে রিকশা ,ভ্যান চালক, কৃষি শ্রমিকেরা। হাসপাতলে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তীব্র শীতে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীত বস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। ছিন্নমূল মানুষের শীত মানেই উষ্ণতার খোঁজে খড়কুটো জ্বালিয়ে গায়ে প্রশান্তি লাভ।
শীত তাদের দুর্বিসহ করে তোলে । খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। তারা সামান্য কাঁথা দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে কিন্তু হাড় কাঁপানো শীত নিবারণের জন্য তাদের কাঁথাও জোটে না।বিরামপুর উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, শীত নিবারনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৭ শত ৫০ টি কম্বল বরাদ্দ হয়েছে। ১ হাজার কম্বল বিতরণ হয়েছে এবং চলমান বলে তিনি জানান। জনগণের ভাষ্য প্রয়োজনের তুলনায় কম্বলের বরাদ্দ খুবই নগণ্য।
শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল হতদরিদ্র মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। হত দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা ভিড় করছে ফুটপাতে পুরাতন কাপড়ের দোকানে। দিনমজুর মামুন জানান আমরা খেটে খাওয়া মানুষ কাজ করলে ভাত জোটে, না করলে জোটে না তবে শীতে কাজ করা খুবই কষ্ট হয়ে পড়েছে। সবজি চাষী আনোয়ার জানান, তীব্র শীতের সকালে আলু , কফি ও বেগুন ক্ষেতের পরিচর্যা করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।