আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিবারাত্রী মশার দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। গ্রামীণ জনপদের ময়লা আবর্জনার স্তুপ,বাসাবাড়িসহ নানান স্থানে মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। মশা নিধনে স্প্রে ছিটানোর কোন উদ্যোগই চোখে পড়ছেনা। নতুন করে ডেঙ্গু আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার লোকজন।
ময়লা-আবর্জনা থেকে জন্ম নেওয়া মশা বাসাবাড়ির ভেতরে। বিশেষ করে, কচুরিপানা ও পানিতে ভাসমান বিভিন্ন ময়লায় থাকা মশা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। অভিজ্ঞজনদের মতে, ঘরবাড়ির আশপাশ ও সড়কের দুপাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপও পানি যুক্ত স্থান থেকে এসব মশার উৎপত্তি।
শীতের আগাম মূহুর্তেও মশার উৎপাত চরম আকারে বেড়েছে। মশা নিধন স্প্রে (ঔষধ) প্রয়োগ না করায় ডেঙ্গু আতঙ্কে নারী পুরুষ। সচেতন মহলের মতে, জলাশয়,ডাবের খোসা ও পচা পানি জমে থাকা স্থানসমুহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা অতীব জরুরী।
ঈদগাঁও উপজেলার আওতাধীন পাড়া-মাহল্লা জুড়ে মশার উৎপাত লক্ষনীয়। সে সাথে খালের পাশ্ববর্তী সংলগ্ন স্থানে অবস্থানরত বাড়ীঘরে মশার বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা খালে অপরিচ্ছন্ন পানিতে ভরপুর। কয়েক গৃহবধূরা জানান, দিবারাত্রি মশার অত্যাচারে ঘরে থাকা দায়। ছেলেমেয়েদের শান্তিতে রাখা কষ্টদায়ক হচ্ছে।
চিকিৎসক রেহেনা আকতার কাজল জানান, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে অতীব সর্তকতা থাকতে হবে, দিনের বেলায় মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমাতে হবে। বাসাবাড়ির আশপাশে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, ফুলের টব, গাবলায় জমে থাকা পানি ফেলে দিতে হবে। বর্তমান সময়ে মশা নিধনে স্প্রে ছিটানো জরুরী বলে মনে করছেন তিনি।