মুক্ত কলম নিউজঃ আমরা আল্লাহ্ পাকের কাছে ক্ষমা চাই ফিলিস্তিনবাসির জন্য দোয়া চাই আল্লাহ্ পাক তাঁদের হেফাজত করুন আমিন। আর ইসরাইলকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ধ্বংস করে দিন। আপনারা যদি ইসরাইলের পণ্য কিনেন তাতে তাঁরা যে পারসেন্টিস পায় তা দিয়ে মুসলমানদের ধ্বংস যজ্ঞ্য চালায়। এত কিছু জানার পরও যারা ইসরাইলের পন্য ব্যবহার করবে তাঁরা কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ পাকের মুখাপেক্ষি হবে ইনশা আল্লাহ্ তাঁদের পণ্য বর্জন আপনার জিহাদের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক ইসরায়েলি পণ্য গুলির তালিকাঃ
পন্য তালিকাঃ-
১. কোকা কোলা
২. ম্যাগি নুডুলস
৩. নেসলে কফি
৪. স্প্রাইট
৫. ফ্যান্টা
৭. নোকিয়া ফোন
৮. অরিজিন্স
৯. ভিটেল
১০. ক্যালভিন ক্লেইন
১১. ম্যাকডোনাল্ডস
১২. ইন্টেল
১৩. আইবিএম
১৪. স্টারবাক্স কফি
১৫. বস
১৬. ড্যানোন
১৭. কিটক্যাট চকলেট
১৮. আউচান
১৯. দ্য টাইমস পত্রিকা
২০. বিবি
২১. সময়
২২. সিএনএন
২৩. হেমা
২৪. গ্যাপ
২৫. নিউ ইয়র্ক পোস্ট
২৬. ল’ওরিয়াল
২৭. ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল
২৮. চ্যাম্পিয়ন
২৯. স্টার
৩০. নিউজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড
৩১. পেরিয়ার
৩৪. টিম্বার ল্যান্ড
৩৫. সানকিস্ট
৩৬. ভিলেজার্স
৩৭. বায়োথার্ম
৩৮. মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার
৩৯. এইচআর
৪০. জনসন অ্যান্ড জনসন
৪১. নেসলে শ্রেডিস
৪২. জর্জিও আরমানি
৪৩. গোসার্ড
৪৪. ডক্টর পেপেল
৪৫. প্লামটেক্স
৪৬. কিউ ইউই
৪৭. কিনলে পানি
৪৮. বাটা জুতা
৪৯. এলজি পণ্য
৫০. ক্লোজ আপ টুথপেষ্ট
৫১. নেভিয়া ক্রিম
৫২. জনসন লোশন
৫৩. ডাভ শ্যাম্পু
৫৪. সানসসিল্ক শ্যাম্পু
৫৬. হারপিক
৫৭. জিলেট
৫৮. লাইফবয়
৫৯. ভিম বার
৬০. ডেটল সাবান
৬১. ভ্যাসলিন
৬২. তাজা চা
৬৩. ট্যাং
৬৪. হুইল পাউডার
৬৫. রিন পাউডার
৬৬. সার্ফ এক্সেল
৬৭. লাক্স সাবান
৬৮. লিভারের পণ্য
৬৯. ক্লিয়ার শ্যাম্পু
৭০. পেপসোডেন্ট পেস্ট
৭১. কুরকুরি চিপ্স
৭২. মি.নুডুলস
৭৩. ম্যাগি নুডুলস
৭৪. লেইস চিপস
৭৫. ল্যকটোজেন দুধ
৭৬. হরলিক্স
৭৭. নেস ক্যাফে
৭৮. রেক্সনা সাবান
৭৯. গার্নিয়ার
৮০. ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম
৮১. ফেয়ার এন্ড লাভলী
৮২. মাউন্টেন ডিউ
৮৩. অরিও বিস্কুট সহ আর অনেক।
ইসারায়েলি পণ্য চেনার উপায়ঃ ৭২৯ কি বিশেষ সংখ্যা! ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ মুসলিম সমাজ। এর ফলে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের আন্দোলন এবার গতিশীল হয়েছে। আর পশ্চিমা ব্র্যান্ডের জায়গায় স্থান পেয়েছে স্থানীয় পণ্যগুলো। এ কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমা ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো।
বারকোড নির্দেশকঃ
বারকোড ইস্যুকারী সংস্থা GS1 এর ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, বিশ্বের প্রত্যেক দেশের বিপরীতে তারা তিন সংখ্যার একটি কোড সরবরাহ করে থাকে। এই তিন সংখ্যা দিয়ে সেই দেশের প্রত্যেক কোম্পানির বারকোড শুরু হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের জিএস১ কোড হলো ৮৯০। এর অর্থ হলো, ভারতীয় কোম্পানির উৎপাদিত সকল পণ্যের বারকোড নম্বর ৮৯০ সংখ্যা দ্বারা শুরু হবে।
বারকোড কেন এখন আলোচনায়ঃ
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সংঘাতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের জোর দাবি উঠেছে। এই বয়কটের দাবির স্বাপেক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারকোড দেখে ইসরায়েলি পণ্য শনাক্তের একটি পদ্ধতি প্রচার করা হচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে, “ইসরাইলী পণ্য চেনার সহজ উপায়। বারকোডের শুরুতে যদি ৭২৯ সংখ্যা থাকে, বুঝে নিবেন এটা ইসরাইলী পণ্য” এবং ‘মেড ইন ইসরায়েল’ লেখা দ্বারা ইসরায়েলে উৎপাদিত পণ্য বলা হয়েছে।
এই তালিকার শুরুতে বলা হয়েছে, জিএস১ বারকোডিং সিস্টেমে শুরুর ৩টি ডিজিট পণ্যের কোম্পানির দেশ নির্দেশ করে, তবে পণ্যটি নির্দিষ্ট করে কোন দেশে উৎপাদিত হয়েছে তা নির্দেশ করে না। তাই ৭২৯ সংখ্যা দিয়ে শুরু হওয়া বারকোডের পণ্যটি একটি ইসরায়েলি কোম্পানির পণ্য, তবে এটি ইসরায়েলে বা পৃথিবীর অন্য দেশেও উৎপাদিত হতে পারে।
পরবর্তীতে, জিএস১ এর ওয়েবসাইটে Frequently Asked Questions(FAQ) অংশে “Does the GS1 Prefix (first 2 or 3 digits of the EAN-13 barcode number) show the country of origin?” শিরোনামের একটি ওয়েবপেজ খুঁজে যায়। সেখান বলা হয়, জিএস১ বারকোড পদ্ধতিতে বারকোডের শুরুর তিন সংখ্যা দ্বারা পণ্যটি নির্দিষ্ট করে কোন দেশে উৎপাদিত তা জানা যায় না। অর্থাৎ, জিএস১ বারকোডিং পদ্ধতিতে ৭২৯ প্রেফিক্স ডিজিট দ্বারা নির্দেশ করা হয় যে, পণ্যটি একটি ইসরায়েলি কোম্পানির পণ্য। তবে, ৭২৯ প্রেফিক্স কোডের পণ্যটি ইসরায়েলে যেমন উৎপাদিত হতে পারে, তেমন ভিন্ন কোনো দেশেও উৎপাদিত হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট করে বারকোডের প্রথম তিনটি সংখ্যা দ্বারা এটি জানা যায় না ঐ পণ্য কোথায় উৎপাদন করা হয়েছে। বরং যে কোম্পানি ঐ পণ্য উৎপাদন করছে সেটি কোন দেশের তা বারকোডের প্রথম তিন সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা যায়। তবে যদি বারকোডের প্রথম তিন সংখ্যা ৭২৯ এর পাশাপাশি পণ্যে নির্দিষ্ট করে Made in Israel লেখা থাকে তাহলে তখন নির্দিষ্ট করে বলা যাবে ঐ পণ্যটি ইসরায়েলি কোম্পানির এবং ইসরায়েলে উৎপাদিত।
মূলত, বারকোড হলো তথ্য উপস্থাপন করার একটি উপায় বা মাধ্যম, যেখানে পণ্যের প্রস্তুতকারক কোম্পানি, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ, ওজন, পরিমাণ, মূল্য এবং স্টক সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য নির্দেশিত থাকে। বর্তমানে বিশ্বে GS1 নামক একটি বারকোড ইস্যুকারী সংস্থার স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। GS1 প্রতিটি দেশের জন্য তিন সংখ্যার একটি কোড সরবরাহ করে থাকে। এর মাধ্যমে, নির্দিষ্ট পণ্যটি কোন দেশের কোম্পানির তা নির্দেশ করে। তবে পণ্যটির উৎপাদন ঐ দেশেও হতে পারে অথবা অন্য কোনো দেশেও হতে পারে।