হানিফুর আলী, স্টাফ রিপোর্টারঃ মাদক ব্যবসায়ীর সংবাদ প্রকাশ করায় দুই লক্ষ্য টাকা চুক্তিতে হত্যার পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ দায়ের করার পরেও নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করার ফলে মাদক কারবারি সুজন দ্বিতীয় দফায় গতকাল ৯ জানুয়ারি ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিঠুর উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা চালান।
সন্ত্রাসী সুজন বাহিনীর হামলায় ভুক্তভুগী সাংবাদিক মিঠুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও নিলা ফুলা জখম করে গুরুতর আহত করেছেন । হামলার পর প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ শেষে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হাজির হয়ে পুলিশ ইন্সপেক্টর তদন্তের নির্দেশ মোতাবেক আবারো একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিঠু র সাথে যোগাযোগ করলে প্রতিবেদক কে জানান যে আমি সমাজ হতে মরনব্যধী নেশা ইয়াবা নামক মাদক এর কবল হতে যুব সমাজ কে রক্ষার জন্য মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছিলাম এই সংবাদ প্রকাশ করার জন্যই মুলত আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অনেক বারই হুমকি প্রদান করে আসছিলেন মাদক কারবারি সুজন চাক্কা সুজন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য সুজনের শালা রুবেল, ওমর ফারুক ,ইকবাল ,ও মোশাররফ সহ আরো অনেক নাম জানা ও অজানা অঙ্গত সন্ত্রাসীরা ।
একের পর এক হুমকি ধামকির পর গত ৩০শে ডিসেম্বর শেখ রাসেল পার্ক জল্লার পাড় অংশে আমাকে দেখতে পেয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা চালানোর জন্য এগুয়ে আসতে দেখে দ্রুত তখন আমি সেই স্থান ত্যাগ করি এবং এই ঘটনার বিষয়ে কথা বলার জন্য রাতে পর্বতীতে জিমখানা এলাকায় পৌঁছালে দ্বিতীয়বার সন্ত্রাসী সুজন তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আবারও আমাকে হত্যার জন্য হামলা চালান তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমি প্রানে বেচে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি এবং পরবর্তী দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি যার দ্বায়িত্ব পায় এস আই রফিক ।
আমার অভিযোগের দ্বায়িত্ব পালন করা পুলিশের এসআই রফিক একদিন পর আমার মোবাইল ফোনে কল করে ও ঘটনার সম্মন্ধে জানতে চায় আমি তাকে সবকিছুই বলি এর পর থেকে একবারের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনি আসেনি বরং আমি কল দিলে কোন সময় বলেছে আমি সাক্ষী দিতে মুন্সিগঞ্জ আছি এর পর থেকে এক বারও তাকে কল করে রিসিভ করাতে পারিনি । তিনি যদি সঠিক সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন তবে পুনরায় আমার উপর এমন বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা চালাতে সক্ষম হতো না ।আমার মনে হয় এসআই রফিক মাদক কারবারি সুজন এর থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেন যার ফলে আমি করলেও তিনি আমার ফোন রিসিভ করেন নাই বরং কেটে দিয়েছিলেন।
সর্বশেষ সাংবাদিক মিঠু আহম্মেদ বলেন আমি সংবাদ প্রকাশ করেছি আমার দেশের যুব সমাজ কে মাদকের কবল থেকে রক্ষার জন্য এবং এই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করার জন্য কিন্তূ বিনিময়ের আমি এখন আমার নিজের ও পরিবারের জীবন নিয়ে বেশ মুসিবতে রয়েছি যে কোনো সময় আমাকে হত্যা করতে পারেন সুজন চাক্কা সুজন ।আমাকে হত্যার জন্য দুই লক্ষ্য টাকা চুক্তি করেছেন যা মাদক কারবারি সুজন প্রকাশ্যেই রাসেল পার্ক এলাকায় বলেছেন এবং এর সত্যতা আমি পেয়েছি যাদের সঙ্গে বসে এই পরিকল্পনা করেছিলেন নাঃগঞ্জ জিমখানার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করি সুজন চাক্কা সুজন।
এমতবস্তায় আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে নিজের জীবনের নিরাপত্তা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে যে কোন সময় যে কোন ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে এজন্য অনতিবিলম্বে অভিযুক্ত মাদক কারবারি ও হত্যার পরিকল্পনাকারি সুজন চাক্কা সুজন কে গ্রেফতার করে তার পরিকল্পনার অংশে কে কে ছিলেন তা বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন রক্ষা করতে সহযোগিতা করুন বলেন সাংবাদিক মিঠু আহম্মেদ ।